মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মেহেন্দিগঞ্জে পুকুরের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ভাতিজাদের মারধরে ৬০ বছর বয়সি চাচার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চরফেনুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে দেলোয়ার হোসেন নামের ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত দেলোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত হাসেম হাওলাদারের ছেলে। পেশায় কৃষক ছিলেন। এবং হামলাকারীরা একই গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত দেলোয়ার হোসেনের ভাই খালেক হাওলাদার ও তার ছেলে চান হাওলাদার এবং ফারুক হওলাদার। দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, বাড়ির সামনের পুকুরের জমি নিয়ে স্বামী দেলোয়ার হোসেন ও দেবর খালেক হাওলাদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত বুধবার (৫ মে) দুপুরে ওই পুকুর থেকে মাটি কাটেন স্বামী দেলোয়ার হোসেন। এ সময় খালেক হাওলাদার ও তার ছেলে চান হাওলাদার এবং ফারুক হওলাদার বাধা দেন ও গালিগালাজ করেন। পরে স্বামী দেলোয়ার হোসেন মাটি কাটা বন্ধ রাখেন। নারী জানান, গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে স্বামী দেলোয়ার হোসেন পুকুর পাড়ে গেলে খালেক হাওলাদার ও তার ছেলে চান হাওলাদার এবং ফারুক হওলাদার তেড়ে আসেন। এসময় তার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাদের ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে চান ও ফারুক হওলাদার তার স্বামীকে মারধর ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়। স্ত্রী সালমা বেগম আরও জানান, তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন রোজা ছিলেন। তিনি নিজের জমির মাটি কাটতে গিয়েছিলেন। তাকে মারধরে একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মেহেন্দিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুকুমার রায় বলেন, দেলোয়ার হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত খালেক হাওলাদার ও তার ছেলে চান হাওলাদার এবং ফারুক হওলাদার আত্মগোপন করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এবং সেই সাথে একটি হত্যা মামলারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply