শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীর চাপে গাড়ির জায়গা হলো না ফেরিতে

দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীর চাপে গাড়ির জায়গা হলো না ফেরিতে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে হঠাৎ করেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ঈদের বাকি আরো এক সপ্তাহ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘরমুখো যাত্রা শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিমুলিয়া থেকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরি শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ে। এসময় ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। ফেরিটিতে ১২শ’ যাত্রী ছিল বলে ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে। বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরীতে কমপক্ষে ১২শ’ যাত্রী ছিল। ফেরিটিতে কোনো গাড়ি পার হয়নি। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচে পড়া ভিড়। বরগুনাগামী যাত্রী রিদয় হাসান বলেন, লঞ্চসহ দূরপাল্লার পরিবহন তো বন্ধ। ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরতে হবে। নৌরুটে শুধুমাত্র ফেরি চলছে। আজ প্রচুর ভিড় ছিল ফেরিতে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধি সব হ-য-ব-র-ল অবস্থা। গোপালগঞ্জগামী যাত্রী আব্দুস শুকুর মিয়া বলেন, ফেরি ছাড়া তো আর কোনো নৌযান নাই। এ কারণেই ফেরিতে প্রচুর ভিড় যাত্রীদের। ঈদের আগেই পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সামনে আরো ভিড় বাড়তে পারে। বরিশালের যাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে যাত্রীদের আরো ভিড় বেড়ে যায়। বাস চলে না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হবে। তাই কয়েকদিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি। বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের পারাপারের জন্য ফেরির বিকল্প কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই যাত্রী উঠে যাচ্ছে। এতে করে গাড়ি উঠতে পারছে না ফেরিতে। বাধ্য হয়েই শুধু যাত্রীদের নিয়ে ফেরি চলাচল করছে। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীরা শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে। মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার আর মোটরসাইকেলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বেশি। দীর্ঘপথ তাদের কয়েক দফা গাড়ি পাল্টে যেতে হচ্ছে। আর গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন থেকে ঈদের পরবর্তী এক/দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে ঘাটে। শুক্রবার সকালে একটি রোরো ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই ফেরিটি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সারাদিনই যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে ঘাটে। উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় ২৬ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কিছু কিছু স্পিডবোট নিয়মভেঙে যাত্রী পারাপার করতো। শিমুলিয়া ঘাটের কিছুটা দূরে গিয়ে যাত্রী তুলে এসব স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটে আসতো। আবার এই পাড়ের ঘাটের বাইরে গিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী তুলে শিমুলিয়া যেতো। নৌপথে নৌপুলিশের টহল থাকলেও নৌপুলিশকে ম্যানেজ করেই এ সব স্পিডবোট চলতো বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com