মো: লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কুয়াকাটা সৈকতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরনে অভয়াশ্রম বানিয়েছেন ওয়াল্ড ফিস বাংলাদেশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। এতে সহযোগিতা করেছেন কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) ৫ এপ্রিল থেকে সৈকতের কাউয়ারচর জোনের ঝাউবন এলাকায় ৩শ’ ফুট বাঁশের বেড়া দিয়ে উপদ্রবহীন সৈকতে এ অভয়াশ্রম নির্মাণ করা হয়েছে। শনিবার ধুলাসার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ: জলিল আকন, ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা ((টায়াক) এর সভাপতি রুম¥ান ইমতিয়াজ তুষার, ওর্য়াল্ডফিস বাংলাদেশ (ইকো ফিস-২) এর আওতায় কুয়াকাটা সৈকতের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র গবেষনা সহকারি সাগরিকা স্মৃতি এ অভয়াশ্রম এর উদ্বোধন করেন। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত ছিলেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো শহিদুল হক, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার মো: সোহরাব হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মহসিন রেজা প্রমুখ। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আনাগোনা নেই পর্যটকদের। ফিরে এসেছে লাল কাঁকড়া দল। ওর্য়াল্ডফিস বাংলাদেশ এর কুয়াকাটা সৈকতের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র গবেষনা সহকারি সাগরিকা স্মৃতি জানিয়েছেন, কুয়াকাটা সৈকতের অন্যতম আকর্ষন লালা কাকঁড়া ও তার আলপনা। লাল কাকঁড়ার বেশী বিচরণ সৈকতের লেম্বুবন ও গঙ্গামতি পয়েন্টে। পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ, অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন, শব্দ দূষণ এবং বেপরয়া মোটরসাইকেলে এই লাল কাঁকড়ার প্রাচুর্যে দিন দিন কমে যাচ্ছিল। তাই সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরনে ওর্য়াল্ডফিস বাংলাদেশ (ইকো ফিস-২) এবং মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে অভয়াশ্রম নির্মাণ করেন। এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল হক বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরণে অভয়াশ্রম সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পরবে।
Leave a Reply