নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের দাফন কার্য সম্পাদনের জন্য ১৭ শতাংশ জমি দান করেছেন এক পুলিশ সদস্য ও তার স্বজনরা। তবে শুধু করোনায় নয়, ওই পুলিশ সদস্য’র উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত এলাকার নিঃস্ব মানুষসহ বেওয়ারিশ মানুষদের মরদেহও দাফন করা যাবে এই জমিতে বলে জানিয়েছেন বরিশালের বানারীপাড়া থানায় কর্মরত সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই)জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালি ইউনিয়নের দেউলি গ্রামে। যেখানে তার বাবা মরহুম ইসমাইল সিকদারের নামে একটি কল্যাণ ফাউন্ডেশন রয়েছে। সেই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো.জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের অন্য সদস্য’রা ১৭ শতাংশ জমি দান করেছেন কবরস্থানের জন্য। যারমধ্যে জাহিদুল ইসলাম নিজে ও তার অনুপ্রেরণায় চাচা আ. হাই, ইউসুফ সিকদার, মাওলানা আ. ছালাম এবং চাচা মরহুম ডা. ইসহাক সিকদারের পরিবারের সদস্যরা একমত হয়ে কবরস্থানের জন্য এ জমি দান করেন।
তিনি জানান, প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে যদি কোনো মানুষ মারা যায় তাদের দাফনের জন্য জমি না থাকলে তাদের এই কবরস্থানে দাফন দেওয়া যাবে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস মহামারি ব্যতীত নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মরদেহ এবং বেওয়ারিশ মরেদহও এই কবরস্থানে দাফন দেওয়া যাবে।
এএসআই জাহিদুল ইসলাম এর আগে বানারীপাড়ায় করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্রদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং শিশুসহ কর্মহীনদের জন্য ধর্মীয় গ্রন্থ ও খেলার সামগ্রী বিতরণ করেন।
Leave a Reply