দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে আজ উপহারের টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। চীন থেকে প্রতি মাসেই বাংলাদেশ টিকা পেতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বুধবার চীনের উপহার দেওয়া ৫ লাখ ডোজ টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও টিকার প্রয়োজন। আজকে গ্রহণ করা টিকাগুলোর দুই ডোজে মাত্র আড়াই লাখ লোককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’ মন্ত্রী বলেন, টিকাদান চালু রাখতে চীন থেকে প্রতি মাসেই কিছু ভ্যাকসিন চায় বাংলাদেশ। জুন-জুলাই থেকে তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বেইজিং। জাহিদ মালেক বলেন, ‘মানুষ যেভাবে বাড়িতে গেল, তাতে আমরা খুবই মর্মাহত হলাম। সরকার তো চেষ্টা করেছে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার। সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু মানুষ সেই সুরক্ষা মানল না। চলে গেল যে যেমনে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এটি আশা করব, তারা যেন নিজের জায়গায় গিয়ে বেশি ঘোরাফেরা না করেন। তারা যেন ভাইরাসটা ছড়িয়ে না দেন। আমরা আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দোয়া করি, যাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে না যায়।’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনমতো প্রতি মাসে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার চীন সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে। দেশেই টিকা তৈরির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতাও বিবেচনা করছি আমরা।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিনোফার্মের এ টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এখন পর্যন্ত ৬০টির অধিক দেশে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
Leave a Reply