নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ খেলার সাথি সাড়ে তিন বছরের শিশুকে হত্যা করে মজা পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা ঘাতক মাকে ধরিয়ে দিয়েছে চার বছরের শিশু পুত্র। পুলিশ ঘাতক জাকিয়া বেগমকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাটি সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের।
নিহত হামিম ওই গ্রামের ছালাম কবিরাজের পুত্র। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের চাচা আবুল বাশার জানান, ২৯এপ্রিল দুপুর একটার পর থেকে তার ভাইয়ের ছেলে হামিমের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজ হামিমের খেলার সাথী পার্শবর্তী বাড়ির এনায়েত হোসেন ও জাকিয়া বেগম দম্পতির চার বছরের শিশু পুত্রকে জিজ্ঞাসা করা হয়। সে আদো আদো কন্ঠে জানায়, হামিমকে তার মা মারধর করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে চুবিয়ে অন্যএকটি পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছে। ওই শিশুর দেয়া তথ্যানুযায়ী সেই মজা পুকুরে সন্ধান চালিয়ে হামিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হামিমের ফুফু শিউলী বেগম জানান, জাকিয়া বেগমের শিশু পুত্র তার ছোট ভাই ছালামের সন্তান হামিমের সাথে খেলা করতে প্রায়ই বাড়িতে আসতো। এজন্য জাকিয়া বেগম তার শিশু পুত্রকে রাগারাগি করতো। কাউনিয়া থানার ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের দাদা আলতাফ কবিরাজ বাদি হয়ে জাকিয়া বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় জাকিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply