নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালসহ সারা দেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫০টি মুজিব কেল্লার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন এবং মুজিব কেল্লাসহ ১৭৫টি স্থাপনার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বরিশালের উজিরপুরের শোলক ইউনিয়নের রামেরকাঠী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমার্স কলেজ বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। উজিরপুর ছাড়াও কলাপাড়ায় মুজিব কেল্লা, নোয়াখালীর সুবর্নচর এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সংযুক্ত হয়ে দুটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উজিরপুরে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত হওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনের এমপি মো. শাহেআলম, বরিশাল-৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনতি বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা। প্রধানমন্ত্রী উজিরপুরে সংযুক্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনতি বিশ্বাস এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেন। এ সময় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে গান গেয়ে শোনান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময়ের অবেহেলিত দক্ষিণাঞ্চেলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু, পায়রা সমূদ্র বন্দর, রেললাইন এবং ফোরলেন করেছে। জনগণকে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষায় মুজিব কেল্লা, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্র এবং প্রতিটি জেলায় খাদ্য গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পথিকৃত। তিনি ১৯৭০ সালের বন্যার সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপকূলীয় মানুষকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু উপকূলীয় এলাকায় বেরী বাঁধ নির্মাণ, মুজিব কেল্লা এবং সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেন। সেই ধারাবাহিকতা বর্তমান সরকার ধরে রেখেছে বলে বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী। উজিরপুরের শোলক ইউনিয়নের রামেরকাঠী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমার্স কলেজ বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে সরকার। ৩ তলা বিশিষ্ট এই বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটির নীচ তলা একেবারে ফাঁকা রাখা হয়েছে। দুর্যোকালীন সেখানে অন্তত ৪শ’ গবাদী পশু নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা যাবে। এছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে অন্তত ৮শ’ মানুষ ওই কেন্দ্রে নিরাপদে অবস্থান নিতে পারবে। রামেরকাঠী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমার্স কলেজের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এবং দুর্যোগকালে প্রতিবন্ধীদের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে হুইল চেয়ার নিয়ে ওঠার জন্য র্যাম (ঢাল সিড়ি) এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুব্রত বিশ্বাস দাস।
Leave a Reply