দখিনের খবর ডেস্ক ॥ দেশে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৩ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মুজিব কিল্লাসহ ২১৫টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এ কথা বলেন তিনি। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপ এবং আসন্ন ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আবার সবাইকে সতর্ক করছি। আরেকটা ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আসছে। সেটা কেবল তৈরি হচ্ছে, কতটুকু যাবে… এখন আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেক আগে থেকেই জানতে পারি। আর সেই বিষয়ে সতর্কতা আমরা নিতে শুরু করেছি। ইনশাল্লাহ আমরা সতর্ক থাকবো, এই ঝুঁকি হ্রাস করতে পারবো। সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সবাই সচেতন থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশটা একটা বদ্বীপ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে প্রাকতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। আর তাছাড়া বাংলাদেশে মাঝে মাঝেই মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও আসে। সবই মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আরও এগিয়ে যাবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলার একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে। বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, আমাদের দুর্যোগ মোকাবিলার যে সক্ষমতা সে সক্ষমতা আজকে সারা বিশ্বে সমাদৃত। যে কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্লোবাল এডাপটেশন সেন্টারের কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের এত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও একটা ছোট ভৌগলিক সীমারেখায় বিশাল জনগোষ্ঠি নিয়েও প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেও আমরা মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে কারণে আমাদের ওপর দায়িত্ব পড়েছে এখন সারা বিশ্বে কীভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করা যেতে পারে তার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন করা, মনিটরিং করার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আসে এটা নিয়ে কাজ করার জন্য গ্লোবাল এডাপটেশন সেন্টারের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
Leave a Reply