নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘূর্নিঝড় ‘ইয়াস’ এবং পূর্নিমার কারনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদী তীরের ১২টি পয়েন্টে বেরীবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। জোয়ারের পানিতে প্রায় ১ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় প্রশাসন। এদিকে ‘ইয়াস’ এর কারনে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পুকুর ও ঘের ডুবে ৬৪ কোটি টাকার মাছ বেড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তবে ঘূর্নিঝড় ও পূর্নিমার কারনে পানি বৃদ্ধিকে আর্শিবাদ বলছে কৃষি বিভাগ। পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিনাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, ঘূর্নিঝড় ‘ইয়াস’ এবং পূর্নিমার কারনে সাগরে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভাগের বরগুনা সদরে বেরী বাঁধের ৪টি পয়েন্ট, বামনায় ২টি পয়েন্ট, বেতাগীতে ১টি পয়েন্ট, পাথরঘাটায় ১টি পয়েন্ট ও আমতলীতে ১টি পয়েন্ট, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নিজামপুরে ১টি পয়েন্ট ও ধুলাসারে ১টি পয়েন্ট এবং ভোলার মনপুরায় ১টি পয়েন্ট সহ মোট ১২টি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেরী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে লোকালয়। বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভাগে প্রায় ১ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে। পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা সড়কও। এছাড়াও কিছু গাছপালা, পানের বরজ ও শাক সবজি ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে। এছাড়া প্রায় ১ হাজার মহিষ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে তিনি। তবে পূর্নাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ‘ইয়াস’ এর কারনে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ বেড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আনিছুর রহমান। এতে ৬৪ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র পটুয়াখালী জেলায় ৫৫ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেলে বলে তিনি জানান। অপরদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন ছিলো। ইয়াস ছিলো কৃষি বিভাগের জন্য আশির্বাদ। পানির কারনে আউশ ধান চাষে কৃষক উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।
Leave a Reply