দখিনের খবর ডেস্ক ॥ জ্যৈষ্ঠ মাসের অর্ধেক চলে গেল। গতকাল ছিল ১৬ জ্যৈষ্ঠ। আর সপ্তাহ দুয়েক পরই শুরু হবে বর্ষাকাল। গত দুই মাস ধরে চলা লাগাতার তীব্র গরম থেকে মিলবে মুক্তি। তবে গরমের ভাব একেবারেই শেষ হবে না। গ্রীষ্মের রেশ থাকলেও বর্ষায় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় গরম খুব বেশি ভোগাবে না। রোববার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ফলে বর্ষাকালের আগাম বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, হয়তো আগামী তিনদিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এরপর ধীরে ধীরে সারাদেশে বিস্তৃত হবে। এ সময়ে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। তিনি জানান, বর্ষা দরজায় কড়া নাড়লেও দাবদাহ বিদায় নিচ্ছে বলা যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে ভ্যাপসা গরম ও কিছু কিছু এলাকায় দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের রাঙামাটি, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রংপুর, খুলনা ও যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এদিকে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
Leave a Reply