দখিনের খবর ডেস্ক ॥ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপি দলীয়ভাবে এখনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে একটি আলোচনা সভায় বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো জায়গা নেই। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফখরুল এই মন্তব্য করেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের অংশগ্রহণ স্মরণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপদযাপন জাতীয় কমিটি এই সভার আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নতুন বাজেট আজকে দিতে যাচ্ছে। এই বাজেট নিয়ে পত্র-পত্রিকায় আমরা যেটা দেখলাম, সেখানে পরিষ্কারভাবে দেখতে পারছি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক কোনো উন্নয়নের কোনো জায়গা নেই।’ ফখরুল বলেন, ‘আজকে সরকারের যে বড় বড় কথা, উন্নয়ন। কোন উন্নয়ন, কাদের উন্নয়ন? এই উন্নয়ন শুধু তাদের যারা এদেশকে শাসন করছে, তাদের পকেট বোঝাই হচ্ছে আর সাধারণ মানুষ একেবারে গরিব থেকে গরিব হচ্ছে।’ বিএনপি মহাসচিব বিরোধী দলের ওপর এক দশক ধরে নির্যাতন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে আমাদের দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, পাঁচশরও উপরে নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, ইলিয়াস আলীসহ হাজারো নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন।’ এদিকে বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এই আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে এমন একটি বাজেট উপহার দিয়েছে যা হলো একটি অধমর্ণের বাজেট।’ সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘মোট বাজেটের ৩৫.৫৬% অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশের বেশি হলো ঘাটতি। যা বৈদেশিক অথবা অভ্যন্তরীণ সোর্স থেকে ঋণের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।’ মঈন খান বলেন, ‘বিএনপি অতীতে এদেশকে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থেকে বার বার বের করে আনার চেষ্টা করেছে। আর আওয়ামী লীগ তাদের বিশৃঙ্খল মেগা প্রকল্প ও মেগা দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিকে বার বার বৈদেশিক নির্ভর করে দেশের প্রতিটি শিশুর মাথায় জন্মের আগেই হাজার হাজার টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এবারের বাজেট তারই চরম বহিঃপ্রকাশ।’ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।
Leave a Reply