চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ২৪ ঘন্টায় জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুতের দাবীতে চর্যফাসনস্থ মনপুরা উপজেলার বাসিন্ধারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার চরফ্যাসন সদর রোডে এই বিদুৎ চাই নাগরিক কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে বক্তরা বলেন, “সৌর বিদ্যুতের আলো মিটিমিটি করে জ¦লে। এটা কোন শক্তিশালী বিদ্যুৎ নয়। সাধারন বিদ্যুৎ খরচের তুলনায় এই বিদ্যুতের খরচ চার থেকে পাঁচগুন বেশী। ফলে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ উপজেলার গরীব ও অসহায় মানুষগুলোর মরার উপর খরার ঘা হয়ে চেপে বসেছে সোলার বিদ্যুৎ। আমরা এই বিদ্যুৎ চাইনা। আমাদের দাবী একটাই, জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুৎ চাই।”‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মনপুরায় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ চাই’ ‘ন্যায্যমূল্যে জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুৎ চাই’ ‘জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ চাই, শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ চাই’ সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ও ন্যায্যমূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান তারা। বক্তরা আরও বলেন, পুরো মনপুরায় সোলার মিনি গ্রীডের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি। দেশের একমাত্র উপজেলা মনপুরা যেখানে উপজেলা সদরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। রাতে মাত্র ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। এছাড়াও মনপুরায় ৩ টি ইউনিয়নে সোলার গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সোলার গ্রীড গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নিচ্ছে ৩০ টাকা। যা এখানকার মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য। মুজিববর্ষে ন্যায্যমূল্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সরকারের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়ন হয়নি মনপুরায়। সাধারন মানুষের রক্তচোষা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এখানকার মানুষের কাছ থেকে ৩০ টাকা প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিল হতিয়ে নিচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতের সাফল্য তাৎপর্যময় ও প্রশংসনীয়। সরকার নিরলসভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে গ্রামগুলিও বিদ্যুতের আওতায় আসছে। এই দ্বীপের মানুষ এখনো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত। আমরা সোলার বিদ্যুৎ চাইনা, চাই জাতীয় গ্রীডের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, মনপুরার বাসিন্ধা চরফ্যাসনে কর্মরত সোনালী ব্যাকের ব্যাবস্থাপক কামরুল ইসলাম, মনপুরার সাবেক ইউপি সচিব, মোঃ আলম. ব্যাবসায়ী মো. কায়েস, ছালেহ উদ্দিন, মোশারেফ হোসেন, নুরে আলম, শামিমসহ মনপুরা উপজেলার চরফ্যাসনস্থ কয়েকশ বাসিন্ধারা অংশ নেন।
Leave a Reply