দখিনের খবর ডেস্ক ॥ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে দ্বীপ জেলা ভোলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। সরগরম হয়ে উঠেছে জেলে পল্লীগুলো। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে আড়তদার ও বেপারিরা। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে জেলেরা প্রচুর ইলিশ নিয়ে ঘাটে এসে তা বিক্রি করে আবার মেঘনায় ফিরে যাচ্ছেন। আর হাঁক-ডাকে তা বিক্রি করছেন আড়তদাররা। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বেপারিরা এসকল মাছ ক্রয় করে ঢাকা, বরিশাল চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় দামও কমেছে কিছুটা। দেখা গেছে মাছের ঘাটগুলোতে দেড় কেজি ওজনের প্রতিমণ ইলিশ পাইকারিতে ৪৪ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক কেজি ওজনের প্রতিমণ পাইকারি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৪০ হাজার টাকায় আর জাটকার মণ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ইলিশাঘাটে মাছ বিক্রি করতে আসা ট্রলার মালিক আহসান জানান, তিনি মঙ্গলবার সকালে ৫০ হাজার টাকার ইলিশ বিক্রি করছেন। প্রচুর ইলিশ পাওয়ার কারণে তিনি এবার তাঁর ধারদেনা পরিশোধ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। অন্য আরেক জেলে জাহাঙ্গীর মাঝি জানান, রোববার দিনরাত মাছ ধরে সোমবার সকালে তিনি তুলাতলি ঘাটে ৭০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এঁর আগেও তিনি গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকার ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন বলে জানান।
ইলিশাঘাটের আড়তদার আমজাদ হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলার মেঘনায় প্রচুর ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা। এই মৌসুমে এর আগে এতো ইলিশ পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় তাঁরাও এবার লোকসানের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, টানা বর্ষণের কারনে ও উজানের পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারনে মেঘনায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এবং তা অক্টোবর পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছর জেলায় ইলিশের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এভাবে ইলিশ পাওয়া গেলে নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।
Leave a Reply