দখিনের খবর ডেস্ক ॥ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বরিশালের হিজলা উপজেলার চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬শত ৪৭ শিশু শিক্ষার্থী। দায় নেবে কে ? দের বছর পর খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ যেন এক ঈদ, আনন্দ, উৎসব। সবকিছুই হার মানিয়ে দিচ্ছে সর্বনাশা মেঘনা নদী। অব্যহত ভাঙ্গনে উপজেলা সংলগ্ন হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যবাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ পশ্চিম বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন মেঘনার পেটে। বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান, তাদের নামে বিদ্যালয় রয়েছে। বাস্তবতা ভিন্ন। স্কুল নেই, শিক্ষার্থীদের বসার যায় নেই।শিক্ষার্থীর পরিবার নেই। আমরা শুধু নামে আছি। ১১ সেপ্টেম্বর ডিডি এবং ডিপিও হিজলা উপজেলায় আসছেন। উপজেলার নাকের ঢগায় চারটি বিদ্যালয় নেই। তা দেখার কেউ নেই। স্থানীয় জন্টু মেম্বার, শহিদ হাওলাদার, শহিদ বেপারী, মকবুলআলম স্যার সহ একাধিক ব্যাক্তি ক্ষোভের সাথে জানান, আমাদের আর আছে কি? আমাদের দেখবে কে? কি ই বা লাভ ? সরকারের বা জনপ্রতিনিধিদের শুভবুদ্ধির উদয় হলে দেখবে। এখন উপজেলা ভাঙ্গা বাকি-তখন ঠিকই দেখবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঃ গাফ্ফার জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply