নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম খলিলুর রহমান করোনা আক্রান্ত ছিলেন। নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফরে তার শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভোলা জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান মারা যান।
খলিলুর রহমান পরিবার বরিশাল নগরীতে বসবাস করতেন। গত রোববারও ভোলায় গিয়ে অফিস করেন। ওই দিন রাতে তাঁর জ্বর আসে। পর দিন সকালে বরিশাল শহরের বাংলাবাজার এলাকার বাসায় ফিরে আইসোলেশনে ছিলেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালে পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা খলিলুর রহমানের করোনার উপসর্গ ছিল। তাই মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শিক্ষা কর্মকর্তা খলিলুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলায়। মারা যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁকে গ্রামের বাড়িতে ওই দিনই দাফন করা হয়।
Leave a Reply