হিজলা প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলাধীন খুন্না গোবিন্দপুরে গত ( ১১জুন ) বৃহস্পতিবার ৩ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মোসা: ইসরাত জাহান ইমা নামের এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামের মো: শফিকুল ইসলামের মেয়ে মোসা: ইসরাত জাহান ইমা। মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আমার মেয়েকে একই উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুরের হ্বাজী দেলোয়ার হোসেন বেপারীর ছেলে মো: মহসিন রেজার কাছে বিবাহ দেই। বিবাহের কিছু দিন পর থেকেই ছেলের বড় ভাই মোস্তফা ও ছেলের বাবা হ্বাজী দেলোয়ার হোসেন বেপারী সাথে পারিবারিক মনমালিন্য ও কলহলের সৃষ্টি হয়। একের পর এক জামেলা সৃষ্টি হলে,মো: মহসিন রেজা তার স্ত্রী (ইসরাত জাহান ইমা) নিয়ে উপজেলা সদর টেকের বাজার তাদের মালিকানাধীন ৩য় তলা ভবনের তয় তলায় বসবাস করে আসছিলেন। মো: মহসিন রেজা কিছু দিন পরে একটি পরকিয়া প্রেমে জরিত হলে তার স্ত্রী বিষয়টি জানলে পারিবারিগক ভাবে কলহলের সৃষ্টি হয় এবং স্ত্রীকে কয়েক বার মারধোরও করে কিন্তু (ইসরাত জাহান ইমা) ছেলের বাবা ও বড় ভাইয়ের কাছে বিচার দিলে তারা কোন রুপ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্ট মেয়েকে দোষারোপ করে। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর সাথে জগরা বিবাদ লেগেই থাকলে, দেলোয়ার হোসেন বেপারী তার ছেলের কাছে পরকিয়ার বিষয় জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে বসেই মহসিন ইসরাত জাহান ইমাকে চেয়ার দিয়ে বারি মারে এবং হত্যা করার হুমকি দেয়। বিষয়টি যখন মেয়ের বাবা মাকে জানায় তারা ঘরোয়া ভাবে কয়েক বার মিট করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু ঘটনার দিন (১১জুন) সকালে ও তার মা মেয়েকে বুঝিয়ে আসলেন ধৈর্য্য ধারন কর সব ঠিক হয়ে যাবে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, (মহাসিন বরিশাল কাশিপুরের শাহানাজ নামের একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠলে জেনে যায় ইমা। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হত প্রায় দিন। মেনে নিতে পারেনি ইমা তার স্বামী অন্য কার সাথে পরকিয়ায় জরিত হোক তার জন্য বাধা হয়ে দারায় পরকিয়ার বিরুদ্ধে। এবং তাদের বিয়ের পর থেকেই পারিবারি কলহলের সৃষ্টি হয় । পারিবারিক সুত্রে আরও জানান, ইসরাত জাহান ইমা’র মা যখন সকাল বেল চলে আসলে বিকেল অনুমানিত ৪-টার দিকে মহসিন তার গর্ভবতি স্ত্রী কে অমানবিক নির্যাতন করে খেন্ত হয়নি পরে পাসন্ড মহাসিন তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য শরীরে আগুন ধরিয়ে দিলে চিকৎকার শুনে নিচ তলার মানুষ আসতে আসতে পুড়ো শরীল জলসে যায়- এবং মহসিন তার শশুরকে বলে ইমা আর নেই বলে ফোন কেটে দেয়। পরে লোক জন মিলে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়। সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার আশংকা জনক দেখলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউব অব বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতেলে রেফার করেন। ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউব অব বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতেলে বেশ কয়েক দিন চিকিৎ চললে উন্নতরদিকে যায়নি সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন ইসরাত জাহান ইমা’র শরীর ১০০ ভাগ পুড়ে গেছে এই রকম ১০০% পোড়া রোগী মনে হয় প্রথম দেখেছি। ইসরাত জাহান ইমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর বর্ননা তার মা ও চাচতো ভাইয়ের কাছে বর্ননা দিয়েছেন যা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড আছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় (১৮জুন) বৃহস্পতিবার বোর ৫টার দিকে মৃত্যু হয়। ইসরাত জাহান ইমা ৩ মাসের আন্তসত্বা ছিলেন। মেয়ের বাবা বলেন আমরা বিষয়টি ক্লিয়ার না বুঝেই ময়না তদন্ত ব্যতিত আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে এনে দাফন করি। পরে ১নং সাক্ষী আমার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ২ নংসাক্ষী আমার ভাতিজা যেহেতু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল তাদের কাছে মেয়ের যে বক্তব্য ও ভিডিও ধারন করা হয়েছে তাতে আমরা বুঝতে পারি আমার মেয়েকে মহসিন হত্যা করেছে তাই আমি বাদী হয়ে (২১জুন) থানায় একটি মামলা দায়ের করি। হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীম কুমার সিকদার জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত সাপক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply