শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বরিশাল নগরীতে আ’লীগ নেতা ও পুত্রের জমি দখলের মিশন

আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বরিশাল নগরীতে আ’লীগ নেতা ও পুত্রের জমি দখলের মিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর আমানগঞ্জের একটি বসতি জমি অবৈধভাবে দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও তার পুত্র। ওই জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও টাকা খেয়ে জমি কেনা বেচা এমনকি শেষ পর্যন্ত ক্রেতাকে জমির দখল বুঝিয়ে দিতে নিজের হাতে পিলার স্থাপন করতে বাড়িওয়ালীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে এসেছেন পিতা ও পুত্র। গত ১১ জুলাই শনিবার ওই আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আনিস ও তার ছেলে আবিদ নিজ হাতে পিলার পূঁতে দিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দিতে যান। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কেটে পরেন তারা।
ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড আমানতগঞ্জ মুরগীর ফার্মের দক্ষিন প¦ার্শে পৈতৃক সুত্রে পাওয়া মোট ১০ শতক জমিতে দুই সংসারের ভাই বোন মিলে বসবাস করে আসছেন তারা। কয়েক বছর আগে তিনি কয়েকজন বোন ও এক ভাই এর ভাগের জমি ক্রয় করে নিজের অংশের সাথে মোট ৫ শতক জমিতে দখলীয় ভাবে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। ২০১৬ সালে নিজেদের মধ্যে জমিজমা বিরোধের জের ধরে বরিশাল জেলা জজ আদালতে একটি মামলাও করেছিলেন তিনি। পরে সে মামলা তুলে নিলেও জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। যে কারনে ওই জমি কেনা বেচাসহ কারো অনুপ্রবেশ এবং জমি ঘিরে সকল কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বহাল অব্যাহত আছে।
মান্নান আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও এ বছরের মার্চের দিকে তাদের বোনদের কাছ থেকে ২ দশমিক ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন পাশর্^বর্তী বরকত নামের এক বাসিন্দা। জমি ক্রয়ে আইনের বাঁধা আছে জেনে এ কাজে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আনিস কে অন্তরভুক্ত করেন রহমান। মোটা অংকের টাকা উপঢৌকন দিয়ে জমি দখলের সকল দায়িত্ব আনিস কে প্রদান করেন তিনি। যে কারনে গত শনিবার ছেলেকে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারিকৃত ওই জমিতে গিয়ে নিজ হাতে পিলার স্থাপন করে জমি বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় সৈয়দ আনিস ও তার ছেলে আবিদ। এসময় সেখানে জমি ক্রেতা রহমত ছিলো না।
মান্নান আরো বলেন, ব্যত্তিগত বিরোধ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আনিস ও তার ছেলে তার ভোগ দখলীয় জমির মধ্যে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে পিলার স্থাপন করার চেষ্টা করে। মান্নানের স্ত্রী মালা জানায়, সকাল এগারোটার দিকে আমার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে সৈয়দ আনিস ও তার ছেলে সন্ত্রাসী কায়দায় ভূমিদস্যুর ভূমিকায় আমাদের জমিতে পিলার স্থাপন করতে আসে। আমি দেখে তাকে নিষেধ করি যে বাসায় কেউ নাই। আমার স্বামী আসলে তারপরে আসবেন। জবাবে আমাকে সে খুন করার হুমকী দিলে আমি ঝাড়– নিয়ে তাড়া করলে তারা বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে অবার বাসার বাউন্ডারী ওয়াল টপকে তার ছেলে আবিদ ভিতরে প্রবেশ করে গেট খুলে দিলে সৈয়দ প্রবেশ করে। পুনরায় পিলার স্থাপন করতে গেলে সাংবাদিকদের টের পেয়ে পিতা ও পুত্র দুজনেই পালিয়ে যায়। কিন্তু দলিলে আদৌ নির্দিষ্টভাবে বিক্রি হওয়া ওই জমির স্থান বা আকার উল্লেখ করা নেই।
এ বিষয়ে সৈয়দ আনিছের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হোসেন বলেন, জমি ক্রেতা বরকত সম্পূর্ন বৈধভাবে আইনী প্রক্রিয়া মেনে জমি ক্রয় করেছেন। কিন্তু জমি দখলে নিতে গেলেই মান্নান বাঁধা হয়ে দাড়ায়। তাই স্থানীয় গণ্যামান্য ব্যক্তি হিসাবে বরকত আমাদের ডেকেছেন তাই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। স্থাণীয় কাউন্সিলরও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, আঃ রহিম হাওলাদারের দুই জন স্ত্রী ছিলেন। বড় জনের ৩ পুত্র ও ৪ মেয়ে। ছোট জনের দুই পুত্র ৬ মেয়ে। মান্নান বড় জনের ৩ মেয়ে ১ ছেলে এবং মান্নানের নিজ এক বোনের জমি ক্রয় করেন। সব মিলিয়ে মান্নান ও তার ভাই ছাত্তার এর অংশসহ ৪ বোন এক ভাইয়ের সম্পত্তি মিলিয়ে সর্বমোট পাঁচ শতক জমির পুরোপুরি মালিক আঃ মান্নান হাওলাদার ও আব্দুস সাত্তার হাওলাদার। যা তাদের দখলে আছে। উল্লেখিত ওই সম্পত্তি আলাদা ও বাউন্ডারী প্রাচীর নির্মান করা। স্থানয়ীরা আরও জানায়, সৈয়দ আনিস একজন লোভী ও স্বার্থবাজ। দীর্ঘদিন বরিশাল আ’লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সাথে রাজনীতি করতেন। এখন স্বার্থের লোভে পাল্টি মেরে প্রতিমন্ত্রীর দলে ভেড়েন। এখন মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে এলাকায় এভাবে বেআইনী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেড়ান। তার বিরুদ্ধে এলাকায় এরকম ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com