রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ফরিদপুরের ২ ভাইয়ের কাছে যেন আলাদিনের চেরাগ, শূন্য থেকে অঢেল সম্পদ

ফরিদপুরের ২ ভাইয়ের কাছে যেন আলাদিনের চেরাগ, শূন্য থেকে অঢেল সম্পদ

ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ী মোড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা চান খন্দকারের অফিসে এক সময় চা-পান সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা। সময়ের পরিবর্তনে বদলে গেছে তাদের জীবন। তারা এখন বিপুল সম্পদের মালিক। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বর্তমানে সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা। এ যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো অবস্থা। বলছি ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বরকত (৪৮) ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল (৪৫) দুই সহোদরের কথা।

রাজধানীর কাফরুল থানার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের একটি মামলায় এ দুই ভাইয়ের জীবন-জীবিকার শুরুর দিকের এবং বর্তমান আর্থিক অবস্থার কথা এভাবেই বলা হয়েছে। মামলা নং-২৪(৬)২০২০। মামলায় দুই সহোদরের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

দুই ভাই বরকত ও রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তারা গত ৮ জুন অবৈধ অস্ত্র ও বিদেশি মদ, ইয়াবা ট্যাবলেট, ডলার, ভারতীয় রুপিসহ ফরিদপুরে গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনায় সেখানে তাদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা হয়। ওই মামলাগুলোয় এর মধ্যে বিভিন্ন দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে

তাদের অঢেল অবৈধ সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসায় গত ২৬ জুন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কৃত হন।

সিআইডি, মেট্রো-পশ্চিমের ৩ নম্বর টিমের পুলিশ পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদের করা মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামি বরকত ও রুবেল ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম ম-লের ছেলে। প্রথম জীবনে তারা ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ী মোড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা চান খন্দকারের অফিসে চা-পান সরবরাহ করতেন। ১৯৯৪ সালে চান খন্দকারের নির্দেশে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন খোকনকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে বরকতসহ অন্যদের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। মামলা নং-৪২(১১)১৯৯৪, ধারা-৩০২/৩৪ দ-বিধি। পরবর্তী সময়ে মামলাটির তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০০২ সালের পর বরকত ও রুবেল তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড, ট্রাকস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা ব্যাপকভাবে শুরু করে।

মামলায় বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তৎকালীন সময়ে তাদের কোনো স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না মর্মে জানা যায়। ২০০৮ সাল থেকে দুই সহোদর ফরিদপুর জেলার এলজিইডি, বিআরটিএ, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, পাসপোর্ট অফিস, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। একই সঙ্গে ভূমি দখল, টেন্ডার ও পরিবহন সেক্টরের ব্যাপক চাঁদাবাজি করে। এ ছাড়া মাদক ব্যবসায় তাদের মনোনীত লোকজন দিয়ে পরিচালনা করে প্রচুর অর্থবৈভব গড়ে তোলে।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরের কাফরুল থানাধীন মহাখালী ডিওএইচএস বাড়ি নং-৩১৬, রোড নং-২১, লেভেল নিউ ডিওএইচএসে অফিস ভাড়া নিয়ে দুই ভাই তাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসবি ট্রেডার্স, মেসাস সাজ্জাদ বরকত কনস্ট্র্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি., মেসাস রুবেল ট্রেডার্স, রাফিয়া কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলার এলজিইডি অফিসসহ বাংলাদেশের সব এলজিইডি অফিসের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চাঁদাবাজির মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন শুরু করে। সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, হত্যা, বিদেশি মুদ্রা পাচার ও হুন্ডির মাধ্যমে বিগত দুই দশকের মধ্যে তারা অর্জিত অবৈধ অর্থের দ্বারা সাউথ লাইন যাত্রী পরিবহনের এসি/ননএসি ২৪টি বাস, ১০টি ট্রাক, দুইটি পাজেরো, দুইটি মাইক্রোবাস, ১টি নিশান মিনিবাস, যার অধিকাংশ নম্বরহীন ব্যবসা ফেঁদে বসেন।

এ ছাড়া ১টি গেস্টহাউস, ৮ হাজার বর্গফুটের ওপর নবনির্মিত বিল্ডিং, বরকত এগ্রো প্রা. লিমিটেড, মেসার্স এসবি ডেইরি ফার্ম, নর্থ চ্যানেল বাগানবাড়ী, এসবি ব্রিকফিল্ড, এসবি পাথর ক্রসিং, এসবি প্রেস, এসবি ট্রেডার্স ও ১টি পেট্রলপাম্প প্রতিষ্ঠা করে। এ ছাড়া আসামিরা ফরিদপুর জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলার গোয়ালচমট, বদরপুর, ডোমরাকান্দি, কৈজুরি, তাম্বুলখানা, কবিরপুর, তুলাগ্রাম, পিয়ারপুর, শিবরামপুর, চরফাতেপুর, নর্থ চ্যানেল ৩৮ দাগ, চ-িপুর, চাঁদপুর এলাকায় ভূসম্পত্তি গড়ে তোলে। অবৈধ কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গত ৮ জুন তারা অবৈধ অস্ত্র ও বিদেশি মদ, ইয়াবা ট্যাবলেট, ডলার, ভারতীয় রুপিসহ গ্রেপ্তার হয়। ওই ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ১৬(৬)২০২০, ১৮(৬)২০২০ এবং ১৯(৬)২০২০ নম্বরে পৃথক ৩টি মামলা হয়।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থ দ্বারা উল্লিখিত সম্পদের মালিক হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের সম্পত্তির মূল্য অনুমান ২ হাজার কোটি টাকা।

তদন্ত কর্মকতা সিআইডির এএসপি উত্তম কুমার গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, আসামিরা এখন ফরিদপুর কারাগারে আছে। ভার্চুয়ালি তাদের উপস্থিত দেখিয়ে রিমান্ড শুনানি হয়। আমরা এখনো আসামিদের রিমান্ডে পাইনি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের আগে মামলা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com