নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা শনাক্তের ১২৯ তম দিনে বরিশাল বিভাগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪ হাজার ৪২৫ জন। মারা গেছে সর্বমোট ৮৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২০২৫ জন। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, গেল ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনা আক্রান্ত দুইজন রোগী বরগুনায় মৃত্যুবরণ করেছে। বাকি পাঁচ জেলায় কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। মোট ৮৮ জন মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৩৩ জন, পটুয়াখালী জেলায় ২৫ জন, ঝালকাঠি জেলায় ১১ জন। পিরোজপুর জেলায় ৭ জন, বরগুনা জেলায় ৭ জন ও ভোলা জেলায় এখন পর্যন্ত ৫জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বরিশাল জেলায়। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২০২৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের সবগুলো জেলায় নতুন করে ১১২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯৬ জন। ওদিকে সর্বোচ্চ শনাক্ত বরিশাল জেলার পর অধিক শনাক্ত হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এই জেলায় আক্রান্ত ৭৫২ জন। মারা গেছেন ২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৮৮ জন। ভোলা জেলায় আক্রান্ত ৪২২ জন। মারা গেছেন ৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৬৪ জন। পিরোজপুর জেলায় আক্রান্ত ৪৩৩ জন। মারা গেছেন ৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২২১ জন। বরগুনা জেলায় আক্রান্ত ৪৩৬ জন। মারা গেছেন ৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৩৮ জন। ঝালকাঠি জেলায় আক্রান্ত ৩৫৯ জন। মারা গেছেন ১১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন। বিভাগে সর্বপ্রথম পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৯ মার্চ। ১০ মার্চ থেকে সংক্রমণের তালিকা খোলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর। সেইদিন থেকে আজ ১২৯ দিন পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২৫ হাজার ৩৩২ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ২১ হাজার ২৬১ জনকে। ইতোমধ্যে ১৮ হাজার ১৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৭১ জনকে। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩০৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৪ জন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৪৫ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
Leave a Reply