নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত শনাক্তের ১৩০ তম দিনে মোট রোগীর সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন সর্বমোট ৯৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২১৪৩ জন। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, গেল ২৪ ঘন্টায় বিভাগের তিন জেলায় ৪ জন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি তিন জেলায় কেউ মৃত্যুবরণ করেননি।ওইদিন বরিশালে ৩ জন, বরগুনায় দুইজন ও ঝালকাঠিতে একজন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন।মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫০৭ জন। ফলে সর্বমোট মোট ৯৪ জন মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৩৬ জন, পটুয়াখালী জেলায় ২৫ জন, ঝালকাঠি জেলায় ১২ জন। পিরোজপুর জেলায় ৭ জন, বরগুনা জেলায় ৯ জন ও ভোলা জেলায় এখন পর্যন্ত ৫জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বরিশাল জেলায়। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২০৪৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের সবগুলো জেলায় নতুন করে ৮২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে এবং সুস্থ হয়েছেন ১১৮ জন। ওদিকে সর্বোচ্চ শনাক্ত বরিশাল জেলার পর অধিক শনাক্ত হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এই জেলায় আক্রান্ত ৭৭৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩১৫ জন। ভোলা জেলায় আক্রান্ত ৪২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৮০ জন। পিরোজপুর জেলায় আক্রান্ত ৪৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২২৩ জন। বরগুনা জেলায় আক্রান্ত ৪৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৪৬ জন। ঝালকাঠি জেলায় আক্রান্ত ৩৭৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৬ জন।
বিভাগে সর্বপ্রথম পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৯ মার্চ। ১০ মার্চ থেকে সংক্রমণের তালিকা খোলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর। সেইদিন থেকে আজ ১৩০ দিন পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২৫ হাজার ৫৫৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ২১ হাজার ৪১৩ জনকে। ইতোমধ্যে ১৮ হাজার২৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৪ হাজার ১৪৪ জনকে। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭০১ জন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৬৭ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৩ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
Leave a Reply