বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে নতুন নতুন যেসব শব্দ এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘লকডাউন’। কলিনস ডিকশনারি এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে এটিকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় নাটকীয়ভাবে শব্দটির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত ইংরেজি অভিধান কলিনসের ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছে এই ‘লকডাউন’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ডিকশনারিতে ‘লকডাউন’কে বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে স্থান দেয় কলিনস ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছে এই ‘লকডাউন’।
কলিনস এই লকডাউন শব্দটিকে ভ্রমণ, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং প্রকাশ্য জায়গায় সাধারণের অবাধ যাতায়াতের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হিসেবে সজ্ঞায়িত করেছে।
কলিনস কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে, এই শব্দটির ব্যবহার যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৬ হাজার শতাংশ এই শব্দের বৃদ্ধি নথিবদ্ধ হয়েছে। গত বছর এই লকডাউন শব্দের ব্যবহার ৪ হাজার বার ব্যবহার হয়েছে বলে রেকর্ড করা আছে। ২০২০ সালে এই শব্দের ব্যবহার লক্ষাধিক বার বিশেষ করে ২ লাখ ৫০ হাজার বেড়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কলিনসের ভাষা পরামর্শক হেলেন নিউজস্টিড বলেছেন, ‘২০২০ সাল জুড়ে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির আধিপত্য ছিল। লকডাউন আমাদের কাজ, অধ্যয়ন, কেনাকাটা এবং সামাজিকীকরণের ওপর প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের অনেক দেশ দ্বিতীয় লকডাউনে প্রবেশ করেছে। এই শব্দটি উদযাপনের মতো কিছুই নয়।’
কলিনস ডিকশনারির প্রকাশক হার্পার কলিনস জানান, বিশ্বজুড়ে করোনার বিস্তার সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখা কোটি কোটি মানুষের সামগ্রিক অভিজ্ঞতার প্রতিনিধিত্ব করছে ‘লকডাউন’ শব্দটি। চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে আড়াই লাখের বেশি বার এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, বহুল ব্যবহৃত ১০টি শব্দের মধ্যে ৬টি শব্দ এই মহামারি সংক্রান্ত। লকডাউন ছাড়াও বাকি পাঁচটি হলো- ‘করোনাভাইরাস’, ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’, ‘সেলফ আইসোলেশন’ , ‘ফোরল’, ‘কি ওয়ার্কার’।
Leave a Reply