নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় পার্টি জেপি’র চেয়ারম্যান পিরোজপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মন্জুর আপন চাচাত ভাই ভান্ডারিয়ার মাহিম হোসেন। তিনি জাতীয় পার্টি জেপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সদ্য পরাজিত ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তার আপন ভাই মাহমুদ হোসেনকে বিএনপি তে যোগদান করাতে একটি সুবিধাবাদী স্বার্থানেষী গোষ্ঠি কিছু না কিছু স্বার্থের বিনিময়ে তোরজোর চালাচ্ছে।
পিরোজপুর ২ আসনে বিগত ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেল হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ থেকে বিএনপির তথা চারদলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী ছিলেন ভান্ডারিয়ার কৃর্তিসন্তান সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের বেসামরিক প্রধান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক মরহুম জননেতা আলহাজ্ব মোঃ এডভোকেট নূরুল ইসলাম মন্জুর। নির্বাচনে তার সহধর্মিণী ডাক্তার সুফিয়া মন্জুর তিনি ভান্ডারিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে মিটিং করতে যাওয়ার পথে গাড়ীতে হামলা করা হয়। সেই হামলায় নেতৃত্ব দেন আনোয়ার হোসেন মন্জুর আপন চাচাত ভাই জাতীয় পার্টি জেপি’র যুগ্ম মহাসচিব, ভান্ডারিয়ায় সদ্য সমাপ্ত পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে পরাজিত সাইকেল মার্কার প্রার্থী মাহিম হোসেনের আপন ভাই মাহমুদ হোসেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে, ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীর গাড়িতে হামলাকারী মাহমুদ হোসেন এখন বিএনপির নেতা হতে চায়? কি কারনে তাকে দলে প্রয়োজন? এমন প্রশ্ন দলের তৃণমূল সাধারণ নেতাকর্মীদের। তাহলে কি ভান্ডারিয়া বিএনপি জাতীয় পার্টি (জেপি’র ) মন্জু পরিবারের হাতে উঠিয়ে দেয়া হবে? এই বিএনপি হবে জাতীয় পার্টি নিয়ন্ত্রিত।
মাহমুদ হোসেন ইতিমধ্যে দলে যোগদানের আগেই আলাদা একটি অফিস তৈরী করে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরী করেছে। আর একারনে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
এই মাহমুদ দলে আসলে, দল কি উপকৃত হবে? মোটেই না।বরং ক্ষতিগ্রস্ত হবে সুসংগঠিত ভান্ডারিয়া বিএনপি এটা নিশ্চিত। এটাই সরকারি দলের এবং আনোয়ার হোসেন মন্জুর গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। কারন এরা জিয়াউর রহমানের আদর্শের ও দেশনেত্রীর নেতৃত্বের রাজনীতি কখনই করে নাই। তারা ক্ষমতা লাভের মাধ্যমে লুটপাটের রাজনীতি করেছে । স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে প্রভাব বিস্তার লাভ করে তাদের উৎথান।
ভান্ডারিয়া বিএনপির রাজনীতি এবং দলের প্রতিক ধানের শীষ মার্কা একমাত্র নিরাপদ মরহুম নুরুল ইসলাম মন্জুরের পরিবারের নিকট এমনটাই দাবি ভান্ডারিয়া বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের।
কারন এই পরিবারকে কোন শক্তি কখনই কিনতে পারবে না। এই পরিবারটি বর্তমান সরকারের আমলে বহুভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার।
এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, ফ্যাসিষ্টদের হাতে কোন দিন মাথা নত করেনি এবং কখনো করবেনা বলে মনে করছেন তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ভান্ডারিয়া তথা পিরোজপুর ২ আসনের বিএনপির রাজনীতি বিএনপির হাত থেকে জাতীয় পার্টির হাতে চলে যাওয়া কখনই ভান্ডারিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারবোনা।
বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকারের দালাল ও সুযোগ সন্ধানী জাতীয় পার্টি জেপি মন্জু পরিবারের মাহামুদ গংদের শহীদ জিয়ার আদর্শের দলে যোগদান কখনই দলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না এমনটাই জানান এখানকার নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply