পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি: বিশ্ব সহ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। সরকার সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে গত ২৫ মার্চ  লক ডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলা এক ধরনের বাধ্যতা মূলক। উপজেলা প্রশাসন সহ সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় মেম্বর ও গ্রাম পুলিশ পোষ্টার, ব্যানার ও মাইকিং করে স্ব স্ব এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে গণ সচেতনতা বোধ তৈরী করতে নানান রকম প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে। অথচ করফা এলাকায় মানুষের মধ্যে গণ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এলাকায় সঠিক নিয়মে চলাচল করার পরামর্শ দেন পাটিকেল বাড়ীর আলমের ছেলে মোঃ গনি আমিন(২৬)। সরকারি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আপন মহিমায়। অথচ সারেংকাঠী ইউনিয়নের বেশ কিছু বিপদগামী ছেলেরা সহ পাটিকেল বাড়ীর ও বেশ কিছু চরম বেয়াদব খ্যাত ছেলেরা প্রতিবাদী গনি আমিনকে বেধম মারধর করে।                                                                 স্থানীয় সূত্র জানায়,  এলাকার বেশীরভাগ ছেলেরা একত্রিত হয়ে ফুটবল খেলে আসছে প্রতিদিন পাটিকেলবাড়ীর দরগা মাঠে । এলাকার স্বার্থে এবং করোনার পক্ষে গণ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এলাকায় ফুটবল খেলা বন্ধ করার পরামর্শ দেন গনি আমিন । আর এ পরামর্শ কাল হয়ে  দাঁড়ায় গনি আমিনের বেলায়। সোমবার বেয়াদব খ্যাত ছেলেরা প্রতিবাদী গনি আমিন কে বেধম মারধর করে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। কিশোর রংবাজরা গনি আমিনের একটি চক্ষুর উপর প্রচন্ড আঘাত করে। মুহুর্তের মধ্যে গনি আমিনের এক চোখ লাল হয়ে রক্ত জমাট বাঁধে। মুহুর্তের মধ্যে বহু ছেলেদের কিল ঘুশির আঘাতে এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এলাকার লোকজন এসে কিশোর রংবাজদের হামলা থেকে কোন মতে উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসা সেবা দেন। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে পল্লী চিকিৎসা জরুরি ভাবে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।                                                                                          এদিকে স্থানীয় পাটিকেল বাড়ীর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার   বিষয়টি শুনেন। পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরী ভাবে স্বরূপকাঠি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে গনি আমিনের পরিবার জেলা  সহ স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার ছেলে দেশের কথা চিন্তা ভাবনা করে ছেলেদের ফুটবল খেলা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। তাছাড়া সমগ্র এলাকায় লক ডাউনের আওতায়। তাই এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে  গঠন মূলক পরামর্শ দেন। আর সেই পরামর্শই কাল হয়ে দাঁড়ায় আমার ছেলের উপর। আমি ন্যায় বিচার আশা করি প্রশাসন সহ মিডিয়ার মাধ্যমে।গনি আমিনের মা বলেন পাটিকেলবাড়ীর বাদশা, গিয়াস, সিহাব, নাসির  ফকির ও নাদিম আমার ছেলেকে অমানবিক কায়দায় মারধর করে।                                         সর্বশেষ এলাকায়  এ জাতীয় নগন্য ঘটনার জন্য তীব্র প্রতিবাদ করেন।প্রশাসন সহ এলাকার   সাধারণ মানুষের একটাই দাবী, গনি আমিন যেন সুষ্ঠু বিচার  পায়। কিশোর রংবাজদের কঠিন বিচার প্রত্যাশা করে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজনরা। তবে এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারও ন্যায় বিচারের পক্ষে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের মামলা হয়নি।