বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এম.পি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় না আনলে সুবিধাভোগীদের সকল ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে -পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ৪ ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার পত্র বিতরণ ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ রিক্সা পেয়ে আনন্দে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে জড়িয়ে কাঁদলেন অক্ষমবৃদ্ধ ও দুপা-বিহীন প্রতিবন্ধী মুলাদীতে আজাহার উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ
দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস বিকল করে দিচ্ছে করোনাভাইরাস?

দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস বিকল করে দিচ্ছে করোনাভাইরাস?

ব্রিটেনে কোভিড-১৯ যে গুরুতর আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছে, এমন হাজার হাজার মানুষকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ফুসফুস চিরকালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য।

ব্রিটেনে চিকিৎসকরা বিবিসিকে বলেছেন, যারা করোনাভাইরাসে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারা আশঙ্কা করছেন, তাদের একটা বড় অংশের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে, যাকে বলা হয় পালমোনারি ফাইব্রোসিস।

ফুসফুসের এই ক্ষতি থেকে সেরে ওঠা যায় না এবং এর উপসর্গগুলো হলো মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ক্লান্তিবোধ।

ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধীনে সেরে ওঠা রোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়ার ও পুর্নবাসনের জন্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

ইংল্যান্ডের একজন ট্যাক্সিচালক, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর যার অবস্থার অবনতি হয় এবং ১৩ দিন ভেন্টিলেটারে থাকাসহ প্রায় চার সপ্তাহ যাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়, তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এরকম একটি পুর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও দুই সপ্তাহ।

সেরে ওঠার ছয় সপ্তাহ পর এপ্রিলের মাঝামাঝি বাসায় ফিরে অ্যান্টনি ম্যাকহিউ এখনো সিঁড়ি ভাঙতে বা ছোটখাট সহজ কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে পড়ছেন। নিচু হতে গিয়েও তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

ফুসফুসে আস্তরণ

হাসপাতালে সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তার দুটি ফুসফুসের ওপরই একটা সাদা কুয়াশার আস্তরণ তৈরি হয়েছে, সেটি অনেকটা ভাঙা কাঁচের মতো দেখতে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা করোনাভাইরাস আক্রমণের একটা বৈশিষ্ট্য।

করোনাভাইরাসে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন এর ফলে প্রচুর শ্লেষ্মা, জলীয় পদার্থ এবং কোষ তৈরি হয়, যা ফুসফুসে যে বাতাস চলাচলের থলিগুলো আছে যাকে অ্যালভিওলি বলা হয়, সেগুলোকে ভর্তি করে ফেলে। এটা যখন হয়, তখন নিউমোনিয়া দেখা দেয় এবং সাহায্য ছাড়া মানুষের পক্ষে নিঃশ্বাস নেওয়া সম্ভব হয় না।

আক্রান্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর নেওয়া ম্যাকহিউয়ের এক্স-রে-তে দেখা গেছে, তার ফুসফুসের ওপর একটা সাদা ছায়ার মতো স্তর তৈরি হয়েছে যেটাকে ডাক্তাররা বলছেন, পালমোনারি ফাইব্রোসিস বা ফুসফুসে ক্ষত সৃষ্টির প্রাথমিক লক্ষণ।

ব্রিটিশ সোসাইটি অফ থোরাসিক ইমেজিং-এর একজন সদস্য এবং রয়াল কলেজ অফ রেডিওলজিস্টের উপদেষ্টা ড. স্যাম হেয়ার বলেন, ‘সাধারণত এ ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের পর ছয় সপ্তাহ হয়ে গেলে ফুসফুসের অবস্থা আবার আগের জায়গায় ফিরে যাওয়ার কথা, অন্তত চিকিৎসকরা সেটাই আশা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি এবং সেজন্যই এটা উদ্বেগের কারণ।’

পালমোনারি ফাইব্রোসিস কী?

পালমোনারি ফাইব্রোসিস এক ধরনের রোগ, যেখানে ফুসফুসের নরম অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এতে ফুসফুসের কলাগুলো (টিস্যু) মোটা ও শক্ত হয়ে যায়, ফলে ফুসফুসে বাতাসের থলিগুলো ঠিকমত কাজ করতে পারে না।

কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে এর ফলে নিঃশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং ক্লান্তিবোধ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে অন্য নানা ধরনের ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই রোগ সারে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে অর্থাৎ দিনে দিনে এই রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

কোভিড-১৯ এর ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, তা নিয়ে গবেষণার কাজ এখনো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।

ধারণা করা হচ্ছে, যাদের হালকা উপসর্গ হয়, তাদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, বিশেষ করে যাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখার দরকার হচ্ছে বা যাদের সংক্রমণ খুবই গুরুতর পর্যায়ে হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

মার্চ মাসে চীনে চালানো এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সেরে ওঠা ৭০ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৬৬ জনেরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও ফুসফুসের নানা সমস্যা রয়ে গেছে।

ব্রিটেনের রেডিওলজিস্টরা সেরে ওঠা রোগীদের প্রাথমিক স্ক্যান পরীক্ষার ভিত্তিতে বলছেন, যারা কোভিডে বেশি অসুস্থ হচ্ছে, তাদের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।

ড. হেয়ার বলেন, ‘সেরে ওঠার ছয় সপ্তাহ পর যেসব রোগীর ফুসফুসের স্ক্যান আমরা দেখেছি, তার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীর ফুসফুসে ক্ষত তৈরির লক্ষণ পরিষ্কার।’

অন্য রেডিওলজিস্টরাও বিবিসিকে একই উদ্বেগের কথা বলেছেন, তারাও একই প্যাটার্ন দেখছেন।

এর আগে যে দুটি করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা দেখেছি, সার্স এবং মার্স-তাতে ২০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগীর পালমোনারি ফাইব্রোসিস ধরনের কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল।

তবে সার্স ও মার্স তুলনামূলকভাবে আরও সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর জীবাণু সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ৮০ লাখের বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে।

ড. হেয়ার বলেন, ‘আমার মূল উদ্বেগটা হল কোভিড-১৯ বিশাল একটা জনসংখ্যাকে সংক্রমিত করেছে। এই ভাইরাস এত মানুষকে আক্রমণ করেছে, ফলে কত মানুষকে যে দীর্ঘমেয়াদে এই ভাইরাস পঙ্গু করে দিয়েছে তার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বিশাল।’

ভবিষ্যৎ চিকিৎসা

ফুসফুসের ফাইব্রোসিস বা ফুসফুসের দেয়াল মোটা হয়ে যাওয়া সারানো যায় না, কারণ ফুসফুসের কোষ একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা চিরস্থায়ী হয়। তবে নতুন ওষুধ দিয়ে এই ক্ষতির মাত্রা কমানো যেতে পারে। হয়ত তা কিছুটা বিলম্বিত বা আটকানোও সম্ভব হতে পারে, তবে তার জন্য এই সমস্যা সময়ে ধরা পড়তে হবে।

ব্রিটেনের স্বাস্থ্য গবেষণা বিষয়ক জাতীয় ইন্সটিটিউটের গবেষক ও অধ্যাপক জিসলি জেনকিন্স বলেন, ‘সমস্যাটা কতটা গুরুতর তা বোঝা দরকার এবং জানা দরকার ঠিক কখন এটা আটকাতে ওষুধ দেওয়া দরকার। আমাদের জীবদ্দশায় এর আগে একই সাথে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ফুসফুস এ ধরনের আঘাতের মুখোমুখি হয়নি।’

কাজেই করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মূল্যায়ন করা এবং তাদের এই ক্ষতি কমাতে সাহায্য করা যায় কি না, সেটাই এখন গবেষক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সামনে আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com