শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
নবনির্বাচিত উজিরপুর-বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে সান্টুর অভিনন্দন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি করার নির্দেশ নওগাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এম.পি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় না আনলে সুবিধাভোগীদের সকল ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে -পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ৪ ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার পত্র বিতরণ ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ রিক্সা পেয়ে আনন্দে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে জড়িয়ে কাঁদলেন অক্ষমবৃদ্ধ ও দুপা-বিহীন প্রতিবন্ধী
করোনা প্রণোদনার সুযোগে ১২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা!

করোনা প্রণোদনার সুযোগে ১২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা!

দুস্থ সেজে প্রায় পাঁচ লাখ ব্যক্তি সরকারের ১২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে এই অর্থ লোপাট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে নগদ অর্থসহায়তা হিসেবে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার কথা ছিল; কিন্তু ভুয়া তথ্য দিয়ে এই পাঁচ লাখ মোবাইল নাম্বরধারী সরকারের সোয়া এক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। অর্থ বিভাগের এক অবস্থানপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জানা গেছে, এই ভুয়া তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে একশ্রেণীর রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিও জড়িত ছিল।

অবস্থানপত্রে দেখা যায়, কারা ছিল না এই পাঁচ লাখের তালিকায়। এতে নাম এসেছে সরকারি চাকুরে, অন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে- বেদে, গৃহিণী, হিজড়া, পথশিশু, প্রতিবন্ধী, ইমাম, চা শ্রমিক, চা দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, বেকার ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে- এমন ব্যক্তির নামও এই তালিকায় রয়েছে। ছিল পেনশনভোগীর নামও।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে নগদ সাহায্য দেয়ার এই প্রক্রিয়াটি কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকায় নানা গরমিল রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এসব তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে বিভিন্ন তথ্যভাণ্ডারের সাথে মিলিয়ে দেখে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই-বাছাইসহ তদন্ত করেছে। এতে চার লাখ ৯৩ হাজার ২০০ জনের ভুয়া তথ্য এসেছে। ফলে এগুলো বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।
তালিকায় দুই হাজার ৮৫৫ জন সরকারি কর্মচারীর নাম রয়েছে। পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের মালিককেও দুস্থ দেখানো হয়েছে। এমন মানুষের সংখ্যা ৫৫৭ জন। ছয় হাজার ৭৮৬ জন সরকারি পেনশনভোগীর নামও তালিকায় রয়েছে।

তালিকায় দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯১৯ জনের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বারবার লেখা হয়েছে। অন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরদের নামও এই তালিকায় ঢুকানো হয়েছে। এমন নজির পাওয়া গেছে এক লাখ সাত হাজার ৩৮৬ জনের ক্ষেত্রে।

পেশা হিসেবে বেদে, গৃহিণী, হিজড়া, পথশিশু, প্রতিবন্ধী, ইমাম, চা শ্রমিক, চা দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, বেকার উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় এমন মানুষের সংখ্যাটাও বেশ বড়। ৭৯ হাজার ৬২১ জন। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের তথ্যে গরমিল ধরা পড়েছে ৭৬ জনের ক্ষেত্রে। এই চার লাখ ৯৩ হাজার ২০০ জনের তালিকা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্যই বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তালিকায় যেসব মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে, সেগুলো নিবন্ধন করা ছিল না। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের বিপরীতে কোনো নিবন্ধন নেই এমন আট লাখ ২৯ হাজার ৯৪৮ জনের মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে। টাকা হাতিয়ে নিতে যুক্ত করা হয়েছে আরো অভিনব পন্থা।

অর্থ মন্ত্রণালয় দেখেছে, সাত লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৭ জনের জন্য যে মোবাইল নাম্বার তালিকায় দেয়া হয়েছে তাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের নাম্বার ও প্রদত্ত জন্মতারিখ নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে রক্ষিত তথ্যের সাথে কোনো মিল নেই। ছয় লাখ ৩৮ হাজার ৫২৬ জনের ক্ষেত্রে যে মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে তাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের বিপরীতে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নাম্বারের সাথে এর কোনো মিল নেই। তালিকায় পেশা হিসেবে গৃহিণী, বস্তিবাসী, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নয়। ১৯ হাজার ১৮২ জনের ক্ষেত্রে এ তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে তালিকায় ভুল ফরম্যাটেও কিছু নাম বা মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল নাম্বারে ১১ ডিজিটের কম বা বেশি দেয়া হয়েছে অথবা সঠিক ফরম্যাটে দেয়া হয়নি এমন ১৯৫ জন পেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, কোরবানির ঈদের আগেই আরেক দফায় আট লাখ ৭৯ হাজার ৩৮৫ জন সঠিক ব্যক্তির কাছে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনার অর্থ পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, উপকারভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের বিপরীতে সব মোবাইল নাম্বার দেয়া যাবে না। একটি মাত্র নাম্বার দিতে হবে। কোনো মোবাইল নাম্বার না থাকলে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১০ টাকার ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল নাম্বারে যাতে ১১ ডিজিট থাকে সেটিও লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ১৬ লাখেরও বেশি পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে অবস্থানপত্রে বলা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com