শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এম.পি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় না আনলে সুবিধাভোগীদের সকল ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে -পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ৪ ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার পত্র বিতরণ ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ রিক্সা পেয়ে আনন্দে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে জড়িয়ে কাঁদলেন অক্ষমবৃদ্ধ ও দুপা-বিহীন প্রতিবন্ধী মুলাদীতে আজাহার উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ
অপরাধ আড়াল করতে ডা. সাবরিনার সিম জালিয়াতি!

অপরাধ আড়াল করতে ডা. সাবরিনার সিম জালিয়াতি!

কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জালিয়াতির তথ্য একের পর এক বেরিয়ে আসছে।

এবার জানা গেল, দীর্ঘদিন ধরে ডা. সাবরিনা তারই এক রোগীর নামে নিবন্ধিত একটি মোবাইল সিম ব্যবহার করে আসছেন, যা বড় ধরনের অপরাধ।

পুলিশের ধারণা, অন্যের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করেও ডা. সাবরিনা সহজেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।

তবে সাবরিনার দাবি, ওই সিম কার নামে নিবন্ধিত তা তিনি জানতেন না।

জিকেজির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, দীর্ঘদিন ধরে যে ফোন নম্বরটি সাবরিনা ব্যবহার করে আসছেন, তা তার নামে নিবন্ধিত নয়।

গ্রেফতার হওয়ার আগে রোববার দুপুরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সাবরিনার কক্ষে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

ওই ফোন কার নামে নিবন্ধন করা জানতে চাইতেই হতভম্ব হয়ে যান বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিভিশন আলোচনায় হাজির হওয়া এই কার্ডিয়াক সার্জান।

প্রথমে তিনি বলেন, ওই সিম কার নামে নিবন্ধিত, তা তিনি জানেন না। পরে ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে ডেকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন সাবরিনা। গাড়ি চালক অন্য একজনকে ফোন করে খোঁজ নিয়ে বলেন, ওই সিম সাবরিনারই এক রোগীর নামে নেয়া।

সাবরিনা তখন বলেন, ‘সিমটা একজন দিয়েছে, এটা আমার রোগীর নামে হয়ত। খুব শিগগিরই পরিবর্তন করে নেব।’

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সাবরিনার ওই ফোন নাম্বারটি বাসাবো এলাকার পারভীন আক্তার নামে এক নারীর নামে নিবন্ধিত।

তিনি বলেন, এভাবে সিম ব্যবহার করা আইনসঙ্গত নয়। এই নম্বর ব্যবহার করে তিনি কোনো অপরাধ করলে দায় পড়বে আরেকজনের ওপর। সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো জালিয়াতি হয়েছে কি না সেটাও একটি বিষয়। এটা একটা বড় অপরাধ।

সাবরিনার ওই সিম ব্যবহারের বিষয়টিও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবায়েত জামান।

সাবরিনার গাড়ি চালক বলেছেন, গত প্রায় একবছর ধরে তিনি এই চাকরি করছেন। শুরু থেকেই ওই নম্বরেই তিনি ‘ম্যাডামের’ সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছেন।

সৈয়দ মোশাররফ হুসাইন নামে এক সাবেক আমলার মেয়ে সাবরিনা পড়ালেখা করেছেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। ২৭তম বিসিএসে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

সাবরিনার আগেও বিয়ে হয়েছিল এবং সেই ঘরে তার দুই সন্তান রয়েছে। তবে আরিফুলকে বিয়ে করার পর তাদের কোনো সন্তান হয়নি বলে তাদের ঘনিষ্ঠ একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার আরিফুলের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাবরিনা দাবি করেন, দুই মাস আগে তাদের তালাক হয়ে গেছে। এখন তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ব্যবহৃত গাড়িডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ব্যবহৃত গাড়িশেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৮ জুন স্বামী আরিফুলের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন সাবরিনা। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, আরিফুল গত ৪ জুন হাসপাতালে গিয়ে তাকে মারধর করেছেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান বলেন, জিডি করার পর পুলিশ তদন্ত করতে হাসপাতালে গিয়েছিল। সাবরিনা তখন বলেছিলেন, তারা স্বামী স্ত্রী মিটমাট করে নিয়েছেন। ফলে পুলিশ আর এগোয়নি।

সাবরিনার ঘনিষ্ঠ একজন বলেছেন, রনি নামে সাবরিনার এক ব্যবসায়ী বন্ধু থাকেন মোহাম্মদপুরে। নিজে গাড়ি চালিয়ে প্রায়ই তিনি রনির বাসায় যেতেন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, তারা এ বিষয়গুলো নিয়েও খোঁজ রাখছেন। জেকেজির জালিয়াতিতে আর কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com