এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
সোহাগদল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সরকারি খালের সুশ্রী পরিবেশ আর নেই। ওয়ার্ডের দোয়াল্লাইয়া খালের সন্মূখ হতে সুতারবাড়ী খালের খরস্রোত তেমন চোখে পড়েনা।স্থানীয় নব্য ভূমিখোর সহ ইউ পি মেম্বার অবৈধ ভাবে ভরাটের অনুমতি দেওয়ার কারণে নাব্যতা হারাচ্ছে সুন্দর ধরণীর বুকে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় খালটি। ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির অলিখিত টেন্ডার দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে খাল ভরাটের ক্ষেত্রে। এছাড়াও স্থানীয় সরকারি সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভরাট সহ ভোগ দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ চানমিয়া,মোঃ ফারুক, আঃ লতিফ, মোঃ শামসুল হক দোকানদার গংদের বিরুদ্ধে । বাদ যায়নি ফার্ম ব্যাবসায়ী মোঃ নকিতুল্লাহ সহ ব্যাট ব্যাবসার মালিক মোঃ সাইফুল গংরাও। পাশাপাশি মোঃ ছিদ্দিক , মোঃ জাহাঙ্গীর , মোঃ হালিম, মোঃ নাসির ও রিনা গংদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে । এদিকে এলাকার বেশীরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন সহ বহু পরিবারের বাসিন্দারা নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় খালটিকে বেদখল করে সংকোচিত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে নব্য ভূমিখোররা। স্থানীয় সূত্র আরও জানায় গত ৫০ বছর ধরে বেআইনি ভাবে কিছু কিছু নব্য ভূমি খোররা দিনের পর দিন স্থানীয় ভাবে অতি দরকারি খালকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে খালের দু সাইডে ভরাটের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পাশাপাশি ইউনিয়নের মেম্বার সুকৌশলে অলিখিত ভাবে উৎকোচ গ্রহণ করে মোঃ সামসু ল হক দোকানদারকে বেআইনিভাবে সরকারি জায়গায় পজিশন দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে । জেলার গণ মাধ্যম ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের প্রচেষ্টায় অনেক অজানা কাহিনির কথা বের হয়ে আসে জনসম্মুখে। অথচ সরকারি রেকর্ডীয় খালের বিশাল প্রশস্ততা আজ সরু হয়ে মরে যাবার উপক্রম যত্রতত্র ভাবে।
এলাকার স্বার্থে সরকারি খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন স্বোচ্ছার। তবে দু-চার ফার্ম ও ব্যাট ব্যাবসায়ীদের কারণে আজ চরম বেহাল দশার সম্মুখীন। এহেন বাসিন্দাদের কুদৃষ্টিতে স্থানীয় খাল আজ চরম হুমকির মুখে। নাম না প্রকাশের শর্তে ওয়ার্ডের বহু প্রতিবাদী নারীরা বলেন, এখন ভরা মৌসুম হলেও পরিপূর্ণ পানি পাচ্ছি না আমরা । খাল ভরাট ও গরুর গো মূত্র সহ গোবরের কারণে পানি ব্যাবহার করা যাচ্ছে না। এছাড়াও শীত মৌসুমে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। তবে স্থানীয় বহু ব্যাবস্যায়ীরা দারুণ হতাশার সুরে বলেন, আমাদের খাল দিয়ে বিগত সময়ে বড় বড় কাডামি নৌকা যাতায়াত করতো। কিন্তু আজ আমরা জিম্মি কিছু কিছু ভূমি খোরদের কারণে। বেআইনি ভাবে এ চক্র প্রতি বছর সরকারি খাল দখলের প্রতিযোগিতায় নামে । হীন স্বার্থ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্বেও পেশী শক্তি দিয়ে বেআইনি ভাবে সরকারি খাল দখল করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে । এদিকে শনিবার সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সকাল বেলা সোহাগদল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে গিয়ে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করতে যান। মিডিয়ার লোকজন যাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় ভূমি খোররা সাময়িক গাঢাকা দেয় । গণ মাধ্যম কর্মীরা অবৈধ স্থাপনার ছবি সহ ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন। ঘটনা স্থলে বসে তাৎক্ষণিক নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ করিমকে বিষয়টি অবগত করেন। অপরদিকে উপজেলা এসি ল্যান্ড সহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করেন গন মাধ্যম কর্মীরা। অবৈধ ভরাটের ঘটনা কথা মুহুর্তের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে স্থানীয় মিডিয়ার কাছে আরও তথ্য দেয় নব্য ভূমিখোরদের বিরুদ্ধে । সর্বশেষ তথ্য মতে গণ মাধ্যম কর্মীদের তৎপরতা সহ স্থানীয় ভূমি অফিসের সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন । এদিকে গত বুধবার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সরকারি খাল দখলের নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর পরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক অবৈধ খাল দখলের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি কর্মকর্তা ও সহকারী অফিস কর্মকর্তারা । এদিকে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, এখনই যদি ইউনিয়নের সরকারি খালের অবৈধ দখল বন্ধ করা না যায় তাহলে অচিরেই বেদখল হয়ে যাবে সরকারি ছোট ছোট খাল । পাশাপাশি ভূমিখোরদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
Leave a Reply