আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামে জমির আইল সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে মোঃ সুলতান গাজী (৬০) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের দুই পুত্র চুন্নু গাজী (১৮), পনু গাজী (২২) ও বড় ভাই আঃ লতিফ গাজী (৭০) আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নিহত সুলতান গাজীর বড় ভাই লতিফ গাজীর সাথে প্রতিবেশী মোশারেফ মাল, আইয়ূব মাল ও তৈয়ব মালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির আইল সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনার রেশ ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল অনুমান ৫টার দিকে লতিফ গাজীর চাষকৃত জমিতে মোশারেফ মাল গংদের পালিত হাঁস প্রবেশ করে ধানের বীজ নষ্ট করে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মোশারেফ মাল গংরা লাঠিসোটা নিয়ে তার দুই পুত্র ও বড় ভাইকে পিটাতে থাকে।
এ সময় নিহত সুলতান গাজী তাদের মারামারি থামাতে গেলে মোশারেফ মাল গংরা তাকে লাঠি দিয়ে তার তলপেটে আঘাত করে। এতে নিহত সুলতান গাজীসহ তার দুই পুত্র ও বড় ভাই আহত হন। স্থানীয় ও স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতান গাজীকে নিহত ঘোষনা করে আহত তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হবে।
নিহতের ভাইয়ের ছেলে মোঃ আবু জাফর বলেন, আমাদের সাথে প্রতিবেশী মোশারেফ মাল, আইয়ূব মাল ও তৈয়ব মালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির আইল সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় আমাদের চাষকৃত জমিতে মোশারেফ মাল গংদের পালিত হাঁস প্রবেশ করে আমাদের রোপনকৃত ধানের বীজ নষ্ট করে। এ নিয়ে আমাদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এ পর্যায়ে তারা আমার চাচা সুলতান গাজীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই সুলতান গাজীর মৃত্যু হয়েছে। আর আহতদের যথাযত চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারিতে সুলতান গাজী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ পেয়ে আমি হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply