করোনার শুরুতে ঢাকার দোহার উপজেলার করোনা রোগীদের সরকারি হাসপাতালের ভিতর থেকেই সংগ্রহ করা হতো করোনার নমুনা। দুই মাস আগে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সেখান থেকে ঢাকা-দোহার সড়কের বটিয়া এলাকায় প্রস্তাবিত একটি হাসপাতালে তা স্থানান্তর করা হয়। এখানে নেই রোগীদের বসার কোনো সুব্যবস্থা। মাথার উপর কোনো ছাদ না থাকায় প্রচণ্ড রোদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টি এলে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় আশপাশের কোনো দোকান কিংবা বাড়িতে। তবে করোনার ভয়ে রোগীদের ক্ষণিকের জন্য আশ্রয় দিতে চায় না অনেকে। এমন দুর্ভোগের মধ্যেই রোগীদের করোনার নমুনা দিতে হচ্ছে। বয়স্ক ও গুরুত্বর অসুস্থ রোগী দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেকে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে মাটিতে পা লেপটে বসে পড়েন। রোগীদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে টেষ্ট করানো হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
সরেজমিনে বটিয়া করোনা সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীরা নমুনা দেয়ার জন্য রাস্তার পাশে দাড়িয়ে রয়েছে। বাইরে থেকে গেটে তালা লাগানো থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে না। ভুক্তভুগী একজন রোগী জানান, আমাদের সকাল ৮টার মধ্যে এখানে থাকার কথা বলা হলেও তাদের খবর নেই। রোগীদের এমনই নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে করেনা টেস্ট দিতে এসে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের ফান্ড না থাকায় আপাতত কিছু করতে পারছি না। ফান্ড হলে একটি টিনশেড ও বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্তা করা হবেন।
Leave a Reply