পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ সামাজিক ও রাস্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বালিহারী এলাকায় মাদকের আড্ডায় পরিনত করার অভিযোগ উঠেছে বালিহারির মোহাজ্জেনের ছেলে মোঃ রাব্বি(২৪) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি প্রতিবেশী সহ সাধারণ মানুষের সাথে মাস্তানী করারও অভিযোগ উঠেছে বালিহারির গাঁজা সেবনকারী রাব্বির বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, গাঁজার পাশাপাশি বেয়াদব হিসাবে বালিহারী এলাকায় বেশ রাখঢাক আছে। আদব কায়দার ছিটেফোঁটা নেই চলার পথে ও জগৎ সংসারে। এলাকায় কিশোর রংবাজ হিসেবে দারুণ বদনাম ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সর্ব মহলে । নিজ গ্রাম বালিহারী সহ সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে রাব্বির মাদক সেবনের কথা । মা বাবার চরম অবাধ্য সন্তান হিসাবেও বেশ রাখঢাক আছে। পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন সহ প্রতিবেশীদের সাথেও নানান কায়দায় ঝামেলা জড়িয়ে দারুণ বিতর্কিত ইতিমধ্যে হয়েছে । এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, রাব্বি আমাদের এলাকায় নামকরা মাদক সেবনকারী।এছাড়াও ইঁচড়েপাকা কিশোর রংবাজ হয়ে চরম বিতর্কিত ও নিন্দিত । চলনে বলনে নিজেকে জাহির করারও বহু অভিযোগ আছে। বালিহারী এলাকার বহু বয়েজেষ্ঠরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, চলার পথে আদপ কায়দার ছিটেফোঁটা নেই রাব্বির মধ্যে ।সমাজের সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, রাব্বি এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে সমাজের নিরীহ জনতা সহ প্রবীণ লোকজন নিরাপদ থাকবে না। অপর দিকে কুমারী বালিকাদের অভিভাবকদেরও চিন্তার ভাজ পড়েছে ইতিমধ্যে। অবশ্য এলাকার জনপ্রতিনিধি মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কৌশলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান। তবে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বরাবরই মাদকের বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারন। সরাসরি মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। তবে রাব্বির বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পেলেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিভাবকদের তলব করে আইনানুসারে কঠিন বিচার হবে। পাশাপাশি সত্যতা প্রমাণ হলে স্থানীয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হবো। এদিকে রাব্বির সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন স্থানীয় ও জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা। মিডিয়ার সাথে কথা হয় গাজা সেবনকারী রাব্বির সাথে। মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে রাব্বি বলেন, আসলে আমাকে নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র করছে এলাকার বেশকিছু লোকজন। তবে এটা সত্য, আমি বন্ধু বান্ধবদের পাল্লায় পড়ে এক সময় মাদকের সাথে জড়িত ছিলাম তবে বর্তমানে আমি মাদকের সাথে জড়িত নই। সর্বশেষ তথ্য মতে নেছারাবাদ থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। তিনি বলেন, বর্তমানে উঠতি বয়সের বেশির ভাগ লোকজন কম বেশি মাদকের সাথে জড়িত। আসলে আমরা প্রমান পেলেই মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীদের গ্রেফতার সহ আইনের আওতায় আনতে সক্ষম।
Leave a Reply