নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে টানা বৃষ্টি এবং নদনদীতে অতি জোয়ারের পানির চাপে দক্ষিনাঞ্চলে পানির উচ্চতা যেমন বেড়েছে, তেমনি পানি প্রবাহের গতিও অনেকটাই বেশি থাকার কারনে প্রদিনদিনই বরিশাল শহরের সড়কগুলো থেকে শুরু করে নি¤œাঞ্চলের বাসা-বাড়ি ও পাকা সড়কে হাটু সমান জোয়োরের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। কিছু কিছু এলাকায় প্রবেশ করা পানি বের না হতে পেরে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বোশেষ হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার সকালের জোয়ারে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৫০ সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৭৯ সেন্টিমিটার, আবুপুরের নওয়াবগঞ্জ নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ১১৮ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর-পায়রা নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৪৫ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৪৩ সেন্টিমিটার, আমতলীর বুড়িশ্বর-পায়রা নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৩২ সেন্টিমিটার, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৪৭ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৪৫ সেন্টিমিটার, উমেদপুরের কচা নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ২৯ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে নদী তীরবর্তী বরিশাল নগরের কলোনী ও সড়কগুলো জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। সেই সাথে পানির স্রোতের গতিবেগ প্রবল থাকায় বরিশাল সদর উপজেলার লামচরি, বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর, রহমতপুর, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা, শ্রীপুর, চরগোপালপুর, উলানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, আজ শুক্রবারও বরিশালসহ দক্ষিনের জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট অনেকটাই কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। বিশেষ করে নগরের ভাঙ্গা রাস্তার খানা-খন্দগুলো পানি জমে যানবাহন ও মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হচ্ছে।’
Leave a Reply