বানারীপাড়া প্রতিবেদক ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের কারনে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর আমাবষ্যার জো’তে প্লাবিত হয়েছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ১৫টি গ্রামের নিম্মাঞ্চল। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের উঠতি পাকা ইরি ধান তলিয়ে রয়েছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য সংকট। কচা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা বেঁড়িবাধ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ায় নদী সংলগ্ন গ্রাম গুলো প্লাবিত হওয়ার কারনে দূর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ অনেকের বসত বাড়ির বাগান ও উঠানে জোয়ারের পানি থৈই থৈই করছে। পাড়েরহাট বাজার এবং চন্ডিপুর হাটের অলিগলি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উপচে পড়ায় অনেক জায়গার কাচা পাকা রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে পড়েছে। কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে আমান ধানের বীজ তলা। এছাড়া চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৬টি ইট ভাটায় কচা নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ভাটা গুলো। অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে রয়েছে কলারন খেয়াঘাট এবং টগড়া ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে। নদীতে অস্বাভাবিক স্রোতের কারণে টগড়া-চরখালী ফেরি চলাচলও মারাতœক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেঁড়িবাধ বিধ্বস্ত টগড়া, খোলপটুয়া, পূর্ব চরবলেশ^র, পূর্ব চন্ডিপুর, বালিপাড়া, কালাইয়া, সেউতিবাড়িয়া, পাড়েরহাট, কলারন, পশ্চিম বালিপাড়া, টেংরাখালী, ইন্দুরকানী, ভবানীপুর, ঢেপসাবুনিয়া এবং চাড়াখালী গুচ্ছ গ্রামের নিম্মাঞ্চল অতি বৃস্টি আর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কচা ও বলেশ্বর নদের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর সাথে সংযুক্ত খাল গুলো দিয়ে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম টিটু জানান, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই আমাদের আশপাশের গ্রাম গুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগের সৃস্টি হয়েছে। খোলপটুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর জোয়ারের পানিতে আমাদের নদী তীরবর্তি গ্রাম গুলোর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
Leave a Reply