নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল থেকে জাহিদুল (৩০) নামে খুলনার বিএল কলেজের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অচেতন অবস্থায় তিনা (২৫) নামের এক তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ওই হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল ও তিনা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে গত ১৮ মার্চ কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল পায়রা’র ৩০১ নম্বর রুমে ওঠেন। হোটেলের রেজিস্টার অনুযায়ী জাহিদুলের বাবার নাম হাফিজুর এবং তিনা’র স্বামী জাহিদুল উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তাদের বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা বলে রেজিস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত মঙ্গলবার দিনভর তাদের কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রাতে পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর জাহিদুলকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। তিনা নামের ওই তরুণী অচেতন অবস্থায় কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, রাত ১১টার দিকে মৃত জাহিদুলের মোবাইলে খুলনা থেকে রিয়াদ নামে তার এক বন্ধু ফোন করেন। রিয়াদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত জাহিদুলের নাম বন্ধন হিসেবেই তারা চেনেন। বন্ধন খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র। তার সাথে থাকা মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে রিয়াদ কিছু বলতে পারেনি। কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই জাহিদুল ওরফে বন্ধন মারা গেছে। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা অচেতন তরুণী রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা অতিমাত্রায় ঘুমের ঔষধ সেবন করেছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হোটেলের ওই কক্ষ থেকে শতাধিক ঘুমের ট্যাবলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করে ওসি বলেন, হোটেলের ডায়রিতে উল্লেখ করা নাম ঠিকানা যাচাই এবং মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অচেতন তরুণীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply