পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ সঞ্জয় হালদারের হত্যা নিয়ে জাতীয় দৈনিক সহ স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সমগ্র বিষয়টি নিয়ে নুতন রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসছে ইতিমধ্যে। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, সঞ্জয়কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত ভাবে বনানী ডাকুয়া ও তার পরিবারের কূটকৌশলী ঠান্ডা মাথার কাজ। সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা গুয়ারেখার গাববাড়ী এলাকায় যাওয়ার পর অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত আট বছর যাবত সঞ্জয়ের সাথে সুসম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন গাববাড়ী এলাকা থেকে একত্রে বরিশাল যায়। আবার একই দিন মৃত্যু অবস্থায় লাশ নিয়ে বনানী ডাকুয়া হাজির হয় লাশ নিয়ে। এলাকার বেশীরভাগ লোকজনের ভাষ্য, এটা সাধারণ মৃত্যু নয় বরং ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে সঞ্জয়কে।আর এনিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে তালবাড়ীর সঞ্জয়ের হত্যা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সর্বমহলে। তবে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসনও অপেক্ষায় আছেন মেডিকেল রিপোর্ট এর জন্য। এদিকে বরিশাল বিভাগের শেবাচিমের ডেথ সার্টিফিকেট নিয়েও নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সুশীল সমাজের মধ্যে । গণ মাধ্যম কর্মীরা সহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি থাকলে আসল হত্যা কারীদের খুঁজে বের করা শতভাগ সম্ভব বলে মনে করেন । এদিকে মেয়ে পরিবার সংবাদ প্রকাশের পর বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সমাজের নামী দামি লোকজনের দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিয়ে মিলতাল করার চেষ্টা যাচ্ছে।
এদিকে গত ২৪/০৮/২০২০ সোমবার বনানী ডাকুয়ার সাথে একত্রে সঞ্চয় হালদার বরিশাল যায় বিশেষ জরুরী কাজে । আর ঐ দিনেই মৃত্যু অবস্থায় সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয় তালবাড়ী এলাকায়। আর এখানেই সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে । পাশাপাশি ঘটনার দিন বনানীর ও সঞ্জয়ের মোবাইল ট্রাকিংয়ের কল লিষ্ট বের করলেই সত্য ঘটনা বের হয়ে আসতে পারে বলে বিজ্ঞ মহল মিডিয়াকে বলেন। তবে সংবাদ প্রকাশের পর সকলেই শতভাগ নিশ্চিত,” সঞ্জয়কে পরিকল্পিত পথে হত্যা করা হয়েছে “। সুকৌশলে ঘাতক চক্র হয়তো বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়েও হত্যা করতে পারে বলে কেহ কেহ কঠিন মন্তব্য করেন। পাশাপাশি এলাকার মেম্বার সহ চেয়ারম্যানও ন্যায় বিচারের পক্ষে জোরালো দাবি জানান। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার বহু লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, বনানী ডাকুয়া সহ বনানীর পরিবার বিগত সময় থেকেই সঞ্জয়ের সাথে কঠিন সম্পৃক্ততা ছিলো। তাছাড়া বনানী ডাকুয়ার সাথে বিগত সময়ে বহু ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ছিলো বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন জানান । এলাকার লোকজন আরও জানান, বনানীর পাশাপাশি মেয়ের মাও বিগত সময়ে ছিল চরম বিতর্কিত। এদিকে গুয়ারেখা ইউনিয়নের বাটনাতলার শুভাশিস মিস্ত্রি সহ বিশালের তাপশ, রোঙ্গাকাঠীর রাজিব হালদার, কাউখালীর পাথলীপাড়ার সেতু মজুমদার ছিল বনানী ডাকুয়ার প্রেমিক পুরুষ।তাছাড়া বিগত সময়ে মেয়ের ভাই এলাকার ত্রাশের রাজনীতি করে বহু বার হুমকি ধুমকি সহ শারীরিক ভাবে মারধর করে সঞ্জয়কে।
সর্বশেষ তথ্য মতে সংবাদ প্রকাশের পর গণ মাধ্যম কর্মীরা বনানী ডাকুয়াকে আবারও নানান প্রশ্ন করেন। বনানী ডাকুয়া এখনো কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। শেবাচিমের কোন ডাক্তার ডেথ সার্টিফিকেট দিলো তার নাম বলতে পারেননি আজও। তাছাড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে অতি দ্রুততার এত কাজ সম্ভব হলো। এ বিষয়েও কোন রকম জবাব দিতে পারেনি। পাশাপাশি বনানী ডাকুয়ার ঝালকাঠির বান্ধবীকে জিঞ্জাসাবাদ করলে হয়তো বহু অজানা তথ্য বের হয়ে আসবে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন। তবে মিডিয়ার লোকজন ভুমরুলি গেলেও বনানীর বান্ধবী সুকৌশলে গাঢাকা দেয়। এলাকার ভাষ্য আবারও জোরালো ভাষায়, সঞ্জয় হালদার হ্রদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যাননি বরং সুকৌশলে ও পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান।
Leave a Reply