ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ ভান্ডারিয়া বিহারী লাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আজ সকাল ১১ টায় করোনার সম্মুখ যোদ্ধাদের সম্মানে ১মিনিট অবিরাম করতালির কর্মসূচি পালন করা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতি, ভান্ডারিয়ার উপজেলা শাখার আয়োজনে।
আজ ৬ মাস প্র্নূ হলো করোনার প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হওয়ার। বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২কোটি ৭৪ লক্ষ,মৃত্যু ৮লক্ষ ৯৬ হাজার।
বাংলাদেশে আক্তান্ত ৩ লক্ষ ২৭ হাজার মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০ পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিস জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ এক হাজার ১৪ জন, করোনা নেগেটিভের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭৪টি। ৭৫ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। উপজেলাভিত্তিক করোনা রোগীর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলা। এ উপজেলায় এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৩০৯ জন। এছাড়া পিরোজপুর সদর উপজেলায় (সদর হাসপাতালসহ) ২৮৬ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ১০৭ জন, কাউখালী উপজেলায় ৮৪ জন, নেছারাবাদ স্বরূপকাঠী উপজেলায় ১২৩ জন, ইন্দুরকানী উপজেলায় ২৮ জন, নাজিরপুর উপজেলায় ৭৭ জন। করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় মারা গেছেন ৭ জন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৫ জন, নেছারাবাদ উপজেলায় ৫ জন, নাজিরপুর উপজেলায় ২ জন, ইন্দুরকানী উপজেলায় একজন এবং ভান্ডারিয়া উপজেলায় একজন। এদিকে, পিরোজপুরে করোনা আক্রান্ত রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা চলছে একেবারেই স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নেই কোন বাধ্যবাধকতা। এ বিষয়ে এখন আর নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রচার-প্রচারণাও। শহর-বন্দর, হাট-বাজার, মার্কেটসহ কোন অফিস আদালতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ব্যবহার করা হচ্ছে না মাস্ক। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু/একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে তাতে খুব একটা সচেতনতা বাড়ছে না।
বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে মাস্ক না পড়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতামত, এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে করোনা আরও ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনায় প্রাদুর্ভাবে জীবনের রং কঠিন ভাবে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সন্তান পিতামাতাকে রাস্তায় ফেলে যায়। প্রিয় জনের আতœত্যাগের চেয়ে স্বার্থপরতা জীবনকে বিষিয়ে তোলে। ঘর মালিক করোনার অজুহাতে রাস্তায় নামিয়ে দিলেন ভাড়াটিয়াদের । কিছু মানুষ করোনাকে পুঁজিকরে লুফে নিলেন কোটি টাকা।
সেই দুঃসময়ে ডাক্তার,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী,পুলিশ,সেনাবাহিনী, স্কাউট, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, মন্রনালয়ের
সম্মুখযোদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনা সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন।ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রানহানীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব মহামারীর ধরন ও রুপ পরির্বতন করে ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারন করেছে। মানুষের সচেতনতা বা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত উধাও হয়ে গেছে তাই আবারো করোনার প্রাদুর্ভাব মহামারী আকার দেখা দিতে পারে বলে দাবী করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উপজেলা রোগী কল্যান সমিতির সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন মিয়া জানান, করোনায় যারা সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যু বরন করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, তাদের সাহস আর মানবতা দেখে অন্যরা উদজীবিত হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ বেল্লাল হোসেন বলেন করোনা যুদ্ধ করতে গিয়ে গোটা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবারের সদ্যস্যদের বিপদের মাঝে রেখে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছি।তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এম পি, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা, ও ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতার কথা স্বরন করেন।
Leave a Reply