পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ সকল কুকর্মের অন্যতম গড ফাদার গুয়ারেখা ইউনিয়নের গাববাড়ী এলাকায় চরম বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বর্গীয় হরলাল ডাকুয়ার ছেলে দিলীপ ডাকুয়া(৫৫) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বিগত সময় থেকেই গাববাড়ী এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মধ্যেও বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিগত সময়ে জন্মদাতা পিতাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে পা ভেঙে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি প্রয়াত বাবাকে বিসাক্ত ইনজেকশন পুশ করে পাগল করে তিলে তিলে মেরে ফেলারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে দিলীপ ডাকুয়ার বড় ছেলে জয় ডাকুয়াকে বাল্য কালে তুচ্ছ ঘটনার জন্য ছেলের আঙ্গুলের মধ্যে খেজুর কাটা ঢুকিয়ে দিয়ে ঐ সময়ে চরম নিন্দিত হওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল।এদিকে নিজ পরিবারের মধ্যে চরম বিতর্কিত হওয়ার পাশাপাশি মস্তান হয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে নিজেকে বিকিয়ে দেয় টাকা ইনকামের আশায়।রক্তের আত্মীয়র পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সাথেও খারাপ আচরণ করে নানান কায়দায় বিতর্কিত হওয়ার সত্যতা রয়েছে।সর্বশেষ গত মাসে গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে গাববাড়ী এলাকায় পল্লী বিদুৎ এর লাইন থেকে সরাসরি অবৈধ ভাবে গাড়ির জন্য চার্জ দেয় দিলীপ ডাকুয়ার বড় ছেলে জয় ডাকুয়া(২০)। এক দিন নয় বরং মাসের পর মাস বেআইনী ভাবে অটো বাইকের জন্য সরাসরি গাড়ির চার্জ দিয়ে আসছিল এচক্র। করফার পল্লী বিদুৎএর অফিসের অফিসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ভাবে স্পটে গিয়ে অবৈধ ভাবে গাড়ির চালককে গ্রেফতার সহ গাড়ির ব্যাটারী জদ্ব করে। ঐদিনই সরকারি বিদ্যুৎ আইনের ধারা অনুযায়ী অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যাবহারের অপরাধে ১৯১৮ সংশোধণী ধারায় মামলার প্রস্তুতি নেয় পল্লী বিদুৎ কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘটনার পরক্ষনেই দৌড়ঝাপ শুরু করে দেয় কূটকৌশলী দিলীপ ডাকুয়া।এ ব্যাপারে দিলীপ ডাকুয়া মিডিয়াকে জানান, আসলেই আমার ছেলে অপরাধ করেছে। তবে এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র আমাকে ও আমার পরিবার নিয়ে। তবে উভয় চেয়ারম্যান অকপটে স্বীকার করেন, ঘটনার সত্যতা নিয়ে।
সর্বশেষ তথ্য মতে বহু শীর্ষ নেতাদের সুপারিশও আইনের সঠিক পথকে গতিরোধ করতে সক্ষম হয়নি। উপজেলা পল্লী বিদুৎএর ডি জি এম গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, বহু সুপারিশ পেয়েছি কিন্তু টনক নড়াতে পারেননি আমাকে। আমরা আইনের আওতায় এনে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রায় ২৪০০০ হাজার টাকা জরিমানা করাতে বাধ্য করি। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, সমাজের মধ্যে ভালো লোকের সাথে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের যোগাযোগ কম হলেও টাউট ও চিটিংবাজ লোকের পাশে বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ রয়েছে। কিন্তু এভাবে অপরাধীর সাথে চলতে থাকলে খারাপ লোকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি সমাজের টাউট বাটপার সহ খারাপ লোকের কঠিন শাস্তি চায় গুয়ারেখা ইউনিয়ন সহ গাববাড়ী এলাকার বেশীরভাগ লোকজনরা।
Leave a Reply