পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বলদিয়া ইউনিয়নের কাটাপিটানিয়ার স্কুল পড়ুয়া কিশোরীকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অহেতুক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। কাটাপিটানিয়ার দশম শ্রেণির ছাত্রী হরিপদ বেপারির মেয়ে (ছদ্ম নাম মৌমিতা বেপারি ১৫ ) কে সামাজিক ভাবে হয়রানি করার জন্য বেশ কিছু অতি উৎসাহী লোকজন আদার জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত থাকলেও কাটাপিটানিয়ার বেশ কিছু অসৎ চরিত্রের লোকজন কঠিন অপপ্রচারে দারুণ ভাবে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে মেয়ে পরিবারের কাছ থেকে। স্থানীয় সূত্র মতে গত সপ্তাহে কাটাপিটানিয়ার মৌমিতার সাথে খেজুরবাড়ীর কার্তিক তালুকদারের অবৈধ মেলামেশার দৃশ্য পানের বরজে দেখতে পায় বলে এলাকার কিছু কিছু লোকজন প্রচার প্রচারণা করে। ঘটনার রাতে কার্তিকের কাছ থেকে একটা দামী মোবাইলও উদ্ধার করে বলে জানান। ঘটনার পর পরই সত্যতার তিল মাত্র না থাকলেও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বহু অপকর্মের অন্যতম গড ফাদার চঞ্চল হালদার সহ সবুজ হালদার গংরা।এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, চঞ্চল হালদারের কাছে এলাকার বেশীরভাগ কুমারী বালিকারা নিরাপদ নয়। ক্ষমতার দাপটে ধারাকে সরা জ্ঞান করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন আরও জানান, স্কুল পড়ুয়া কিশোরী বালিকার বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী খেজুর বাড়ীর কার্তিক তালুকদারের সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার অভিযোগ তোলে সমাজের খারাপ সঙ্গের চঞ্চল গংরা। কোন রকম সঠিক তথ্য ছাড়া অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দিতেও কার্পণ্য বোধ করেননি।
সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সরাসরি খেজুরবাড়ীর ছেলেদের বাড়ী সহ মেয়ের বাড়ী যায় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার নিমিত্তে। এলাকার স্বার্থে কেহই সঠিক নিয়মে সঠিক তথ্য দিতে শতভাগ ব্যার্থ হয়েছে। তবে অতি উৎসাহী কিছু কিছু লোকজন তিলকে তাল করে যাচ্ছে সর্বত্র। তবে ছেলের পরিবার গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে এটা আমার ছেলের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র। অপর দিকে মেয়ের মা সহ মেয়ে সাংবাদিকদের সকল প্রশ্নের জবাব দিতে দ্বিধা বোধ করেনি। মেয়ে কান্নারত ভাষায় বলেন, আমি সহ আমাদের পরিবারকে বারবার অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দিতেও কার্পণ্য বোধ করেননি। তবে মেয়ের মা মিডিয়ার লোকজনদের পেয়ে মনের বহু কষ্টের কথা বলেন। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আসলে কিছু কিছু লোকজন আমাদের এখানে বসবাস করতে দিতে চায়না। আমার একটা সক্ষম ছেলে না থাকায় বেশির ভাগ বিপদগামী লোকজন গণ হারে অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমার মেয়ে নির্দেশ শতভাগ। তাছাড়া গভীর রাতে আমার মেয়ে বাসায় ছিলো।
এ ব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধি গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে আমার ওয়ার্ডের মধ্যে আমরা বেশীর ভাগ লোকজন হুজুগের পাগল। গত করোনার সময়ে আমাদের এলাকায় সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা আপনারা সকলেই জানেন। আসলে কিছু কিছু লোকজন অহেতুক তুচ্ছ ঘটনাকে অতি মাত্রায় রং ছং করতে বেশ পটু। তবে সঠিক তথ্য প্রমান সাপেক্ষে কিছু না পেয়ে কাউকে অহেতুক অপ্রচার করা ঠিক নয়। তবে ভিন্ন কথা বলেন এলাকার চেয়ারম্যান, তিনি অকপটে স্বীকার করেন কাটাপিটানিয়া এলাকায় মাঝে মাঝে তিলকে তাল করে যাচ্ছে। তবে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক আর এটাই হওয়া দরকার। অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টির জন্য স্থানীয় গ্রাম পুলিশ অবগত করেন। সর্বশেষ তথ্য মতে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের দপ্তরে পৌছায়নি বলে ডিউটি অফিসার মিডিয়া কে বলেন।
Leave a Reply