বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক উচ্চ ফলনশীল লাউয়ের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব (জেনেটিক্স) এবং উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা) ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম। বিশেষভাবে বাণিজ্যিক বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি ‘বিইউ লাউ-২’ নামে লাউয়ের এই জাত উদ্ভাবন করেছেন তিনি।
উচ্চ ফলনশীল এ জাতটিতে উন্মুক্ত পরাগায়ন হয়। জাতটির ফলনের তুলনায় অঙ্গজ বৃদ্ধি খুব কম যা আধুনিক বা স্মার্ট কৃষির জন্য উপযোগী। এছাড়া পুং ও স্ত্রী ফুলের অনুপাত কম হওয়ায় গাছটি খাদ্যের যে যোগান দেয়া হয় তা অত্যন্ত মিতব্যায়িতার সাথে ব্যবহার করে ফলে এটি অধিক ফলন দেয়।
জাতটির গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, আগাম জাত হিসাবে জুলাই-আগস্ট মাস থেকে এর বীজ বপন করা যায়। দেশীয় লাউয়ের মতো এ জাতটি হালকা সবুজ বর্ণের, প্রতি গিঁটে ফল ধরে। ফলের গড় ওজন এক দশমিক পাঁচ কেজি থেকে দুই কেজি, যা বর্তমান সমাজের ছোট পরিবারগুলোর চাহিদার সাথে মানানসই।
বিইউ লাউ-২ জাতটি বিদেশী মাতা লাউয়ের সাথে দেশী পিতা লাউয়ের সংকরায়ন পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। লাউয়ের জাতটি উদ্ভাবনে ছয় থেকে সাত বছর সময় লেগেছে।
জাতটি সম্পর্কে এর উদ্ভাবক প্রফেসর আমিনুল ইসলাম বলেন, জাতটির অঙ্গজ বৃদ্ধি কম হওয়ায় স্বল্প জায়গায় এমনকি ছাদ বাগানে সহজে চাষ করা সম্ভব। তাছাড়া ফল ছোট আকারের হওয়ায় এক বেলার জন্য লাউ কেটে রান্না করে বাকিটা পরের বেলার জন্য রেখে দিলে স্বাদ ও গুনাগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। জাতটি দেশের সবজির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply