পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে বর্তমান পৌর মেয়র সহ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর মধ্যে। কে পাচ্ছেন যোগ্যতার মাপকাঠিতে নৌকার টিকেট। আর সেই মিশন ও ভিশন নিয়ে বর্তমান মেয়র সহ সম্ভাব্য সকল মেয়র প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে । বর্তমানে মেয়র প্রার্থী হিসাবে বর্তমান মেয়র সহ এস এম মুইদুল ইসলাম মুহিত, মিয়া মোঃ ওহাব, সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান খান , ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শহিদুল ইসলাম রিপন ও পৌর যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকার প্রমুখরা রয়েছে প্রার্থীর তালিকায়। অবশ্য এবারের পৌর নির্বাচনে স্বরূপকাঠির ইতিহাসে একটা আলাদা ইমেজ বহন করবে বলে বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল মিডিয়াকে জানান। সময়ের শান্তিপ্রিয় ও সাদা মনের মাননীয় মন্ত্রী এ্যাডঃ শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদে এবারের পৌর নির্বাচন হবে আর একটি ইতিহাস।বর্তমান মন্ত্রীর অতি আস্থা বাজন হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মুইদুল ইসলাম মুহিত। পাশাপাশি সাবেক কাউন্সিলর ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মিয়া মোঃ ওহাবও রয়েছে মন্ত্রীর আর্শীবাদ নিয়ে । আবার ছাত্র লীগের জনপ্রিয় নেতা সাবেক ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপনও আছে বিবেচনায়। অপরদিকে বর্তমান মেয়র জি এম কবির মাননীয় মন্ত্রীর সুনজরে নেই বললেই চলে। বিগত পৌর নির্বাচনে সাবেক এম পি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম আউয়াল মহোদয়ের বিশেষ আর্শীবাদ নিয়ে নৌকার টিকেট পেয়েছিল। তবে পৌর নির্বাচনে স্বরূপকাঠির ইতিহাসে ইউনিয়ন পর্যায়ের ভোটাররা ভোট নিয়ে একটা নজির স্থাপন করে মেয়র নির্বাচিত হয়। তবে এবারের পৌর নির্বাচনে বর্তমান মেয়র নৌকার টিকেট পাওয়া নিয়ে শতভাগ সংশয় দেখা দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগের বেশীর ভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান। আর সেই সূত্র ধরেই মাননীয় মন্ত্রীর সুনজরে থাকা প্রার্থীদের কিছুটা জয়জয়কার বলে মনে করেন ।এদিকে পৌর সভার নির্বাচনকে নিয়ে এরিমধ্য পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যে চায়ের দোকানের আড্ডায় আলোচনা হচ্ছে কে পাচ্ছেন নৌকার টিকেট। স্থানীয় জনমত জরিপে এস এম মুইদুল ইসলাম ও মিয়া মোঃ ওহাবের নাম সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। অবশ্য ভিন্ন কথা বলেন মাননীয় মন্ত্রীর খুব কাছের লোকজন। তাদের ভাষ্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মুইদুল ইসলাম মুহিত যদি নির্বাচন না আসে তাহলে মিয়া মোঃ ওহাব নৌকার টিকেট পাবেন বলে জানান। অবশ্য বর্তমান মেয়র পড়বে বেকায়দায় আর সঠিক কারণ হিসাবে ব্যাখা দেন পৌর আওয়ামী লীগের ও যুব লীগের বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে আরও বলেন, গত পৌর নির্বাচনে সাবেক সংসদ এ কে এম আউয়াল মহোদয়ের সুদিনকে ব্যাবহার করে মেয়র হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম আউয়াল মহোদয় নমিনেশন না পাওয়ার সাথে সাথে পৌর মেয়র রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভলিউম পরিবর্তন করে অন্য রূপ ধারন করেছিলেন বর্তমান মেয়র। তবে সাবেক সংসদ এ কে এম আউয়াল মহোদয়ের যোগ্য নেতৃত্বকে ভালোবেসে এখনও কঠিন ভাবে লেগে আছেন পৌর যুবলীগের সভাপতি ও স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবু শিশির কর্মকার। নিখাদ ভালোবাসা নিয়ে এখনো স্ব-মহিমায় টিকে আছে সাবেক সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম আউয়াল মহোদয়ের নেতৃত্বের সাথে। মন মানসিকতা পরিবর্তন না করে বীরত্বের সাথে পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীতা চাইবেন বলে মিডিয়াকে জানান। একান্ত আলাপ চারিতায় বলেন, আমিও নৌকার টিকেট পাওয়ার যোগ্য দাবিদার। এদিকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মিয়া মোঃ ওহাব জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি বরাবরই মানব সেবায় নিয়োজিত। আত্ম মনবতার কল্যাণে গত ২৫ মার্চ হতে বর্তমান সময়ে করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত না হয়ে পৌর সভার মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। শুধু আমার ওয়ার্ড নয় বরং সমগ্র পৌরসভার মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই মানব সেবায়। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে ওহাব জানান, আমি যদি নৌকার টিকেট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হই তাহলে পৌরসভাকে একটা রোল মডেল পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলবো। আমার বিশ্বাস পৌরবাসীর মনের আশা পূর্ণ হবে আর সেই আশা আমি সঠিক ভাবে শতভাগ পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply