পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ ভাগ্যগুনে বেচে যাওয়া মধ্য করফার একটি অসহায় ও হত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন স্বোচ্ছার। গত বুধবার স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও অন লাইন দৈনিকে করফার শেখর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর সংবাদ প্রকাশিত হয়। মধ্য করফার স্বর্গীয় নির্মল বেপারির বিধবা স্ত্রী ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আদুরী বেপারির পরিবারকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে রান্না করা ভাতের মধ্যে চেতনানাশক ট্যাবলেট দেয় ইন্দ্র রায়ের ছেলে শেখর রায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, মধ্য করফার স্বর্গীয় ইন্দ্রো রায়ের ছেলে শেখর রায়য়ের (৩৫) লেলুপ দৃষ্টির কারনে হয়তো নগন্য কাজের বহিঃপ্রকাশ। একই গ্রামের সম্পর্কের ভাগনীর সর্বনাশ করারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সর্বনাশ করার চেষ্টা করতে কোন রকম কার্পণ্যতা বোধ করেননি নীতিহীন শেখর রায়। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সম্পর্কের ভাগিনির বাসায় বুধবার সন্ধ্যার পর পরই রান্না করা ভাতের মধ্যে ঔষধ প্রয়োগ করার গোমর ফাঁস হয়ে যায়। আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময়ে শেখর রায় জল খাওয়ার নাম করে স্বর্গীয় নির্মল বেপারির কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর বাসায় যায়। খারাপ চরিত্রের অধিকারী ও দুষ্ট প্রকৃতির শেখর কূটকৌশলী শয়তানি বুদ্ধি খাটিয়ে হঠাৎ জল খাওয়ার কথা বলে আদুরীর মাকে। সরল মনে আদুরীর মা রান্না ঘরের অপর পাশে টেবিলে থাকা জল আনতে যায়। আর সেই সুযোগ নিয়ে হঠাৎ নষ্ট চরিত্রের শেখর রায় রান্নাকরা পূর্ণ সিদ্ধ ভাতের মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে। তবে আদুরীর মায়ের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে ভাতের পাতিলের দিকে নজর দেন। মুহূর্তের মধ্যে ঔষধ দেখতে পান আদুরী সহ তার পরিবার। পরিবার সহ এলাকাবাসীর ভাষ্য, নষ্ট চরিত্রের শেখর রায় মনের কু- ভাষণা পূর্ণ করার নিমিত্তের জন্য পশুরুপি শেখর হীন স্বার্থের কারণে জগন্যতম কাজ করার দুঃসাহস দেখায়। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও তার মা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, নষ্ট চরিত্রের শেখর রায় স্বার্থের জন্য বিগত সময়ে আদুরীর বাবার মৃত্যুর কয়েক মাস পরই বাছুর সহ দুই বারে ২ টি গরু বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে গরু মেরে ফেলে। এছাড়াও বিসাক্ত ঔষধ প্রয়োগ করে ১০০ হাসের অধিক মিনি খামারের দেশীয় হাস মেরে ফেলে একই দিনে। অসভ্য চরিত্রের মাস্তান খ্যাত শেখর রায় আবারও একই পরিবারের গৃহ পালিত পঞ্চাশের ওদিক হাস মুুুরগিরও ক্ষতি সাধন করেছিল বিগত সময়ে। গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন, আমরা শেখর রায়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, শেখর রায় ও তার আত্মীয় জুয়েল রায় ও বি এন পির ক্যাডার সেতাব রায়ের কূটকৌশলীর শয়তানি বুদ্ধিতে ক্ষতি সাধন হয় অসহায় পরিবারের সম্পদ। গ্রামের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য বি এন পির ক্যাডার সেতাব রায়ের অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে বলে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন জানান। এদিকে ঘটনার পরক্ষনেই স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে করফা এলাকায় পরিদর্শনে যান। ঘটনার শতভাগ সত্যতা পেয়েও কোন রকম অভিযোগও নেয়নি। অথচ তাৎক্ষণিক ভাবে বিষাক্ত ট্যাবলেট মিশ্রিত ভাত উদ্ধার করে ফাড়িতে নিয়ে যায়। বিশেষ কি কারণে কোন ধরনের অভিযোগ পর্যন্ত নেয়নি। স্থানীয় ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার কথা বার্তায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। এদিকে রান্না করা ভাতের মধ্যে ঔষধ প্রয়োগের ঘটনা নিয়ে সমগ্র করফায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি কঠিন শাস্তির দাবিও জানান এলাকাবাসীরা। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ তথ্য মতে করফার বেয়াদব খ্যাত নষ্ট চরিত্রের শেখর রায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে নেছারাবাদ থানার সাহসী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোঃ হোসেনের নির্দেশ মোতাবেক প্রাথমিক ভাবে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ১৬/১০/২০২০ তারিখ অভিযোগ নেওয়া হয়। ডিডিটি অফিসার এস আই মোঃ দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
Leave a Reply