আনোয়ার হোসেন ॥ করোনাভাইরাস এর প্রকোপে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট পরিক্ষার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছে কাটাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মডেল টেস্ট পরিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩০০-৫০০শত টাকা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, অভিভাবকরা পরিক্ষা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন বলেই আমরা বাড়িতে প্রশ্ন দিয়ে পরিক্ষা নিচ্ছি।
অনুরোধ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি পরিক্ষার নাম দিয়ে টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষ এমন হুমকি দিচ্ছে মডেল টেস্ট পরিক্ষার টাকা না দিলে মূল্যায়নের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করা হলে সেখানে ফেল দেখানো হবে। কাটাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয় থেকে মডেল টেস্ট পরিক্ষার ৩০০ টাকা পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। যারা পরিশোধ না করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তবে এ জন্য লিখিত কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু মডেল টেস্ট পরীক্ষার কথা বলে পরীক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, মডেল টেস্ট পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী মডেল টেস্ট পরীক্ষা শিক্ষার্থী বাড়িতে বসে নেওয়া হচ্ছে। ওই পরীক্ষার ফি ষষ্ট শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ৩০০ টাকা আর নবম- দশম এর জন্য ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তের কারণে এ পরিক্ষার ফি আদায় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কাটাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষা মূল্যায়নের মাধ্যমে হবে তাই আমরা শিক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা নিচ্ছি। এ পরীক্ষায় তারা নিজ নিজ বাসায় বসে অংশগ্রহণ করবে। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য আমরা কিছু টাকা নির্ধারণ করেছি। কেবল তাই অভিভাবকদের কাছ থেকে সভাপতিকে জানিয়ে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি গাউছে আলম লাল বলেন, পরিক্ষা নেওয়া যাবে কিন্তু ফি বা বেতন নেওয়া যাবে না। যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply