পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ অঢেল সম্পদের লোভে পড়ে দিন দিন চরম অমানুষ হওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মৃত রাহেন উদ্দিনের ছেলে শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে।জীবনের শেষ সময়েও শুধু অঢেল সম্পদ গড়ার নেশায় পেয়েছে। আপন রক্তের ওয়ারিশদের সাথেও মামলা মোকদ্দমায় ব্যাস্ত সময় পার করেছে সমুদয়কাঠীর কঠিন বিতর্কিত শেখ মোহাম্মদ। জীবনের শেষ সময়েও আপন ভাই শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলেদের কাছ থেকে বিগত এক বছর আগে মোশাররফ হোসেন জায়গা কবলা করে। অথচ সেই জায়গায় মোশাররফ হোসেন ঘর স্থাপন করে বসবাস করে আসছিল। সর্বশেষ তথ্য মতে শেখ মোহাম্মদ সহ তার বড় ছেলে শেখ জাহিদ, শেখ লিটু, আপন ভাতিজা শেখ কিবরিয়া সহ একদল সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে ঘর ভেঙে মোশাররফের স্ত্রী সহ ছেলে মেয়েদের মারধর করে বিতাড়িত করার দুঃসাহস দেখায়।অপর দিকে জায়গা জমির লোভে হীন স্বার্থের জন্য শেখ মোহাম্মদের আপন ফুপাতো ভাই সহ প্রতিবেশীরাও নিরাপদ নয় পাকাপোক্ত ভূমিখোরের কাছে । বিগত সময়ে আপন ফুপাতো ভাই মৃত খন্দকার মোঃ বজলুর রহমানের প্রায় এক বিঘা সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখলের গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমাদের সেহাঙ্গলের সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত শেখ মোহাম্মদ। স্বার্থের কারণে মুহুর্তের মধ্যে জায়গা জমির লোভে আপন আত্মীয় স্বজন সহ প্রতিবেশীরাও নিরাপদ নয়। নষ্ট প্রকৃতির লোভী শেখ মোহাম্মদ গত ৩০ বছর আগে নাম মাত্র ১৬০০ টাকায় দিয়ে ছলচাতুরী করে মৃত সৈয়দ আঃ খালেকের সাথে। এছাড়াও আপন শালা শেখ ইমাম রেজা মিঠুর কওলা সম্পত্তিতেও অবৈধ ভাবে ভোগ দখলের কাজে ব্যাস্ত সময় পার করেছে ভূমিখোর শেখ মোহাম্মদ। অবশ্য শেখ ইমাম রেজা মিঠু জেলা ম্যাজিস্টেট কোর্টে মামলা করে। অবশ্য মামলা চলমান অবস্থায় রয়েছে।
ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও জানায়, হীন স্বার্থের কারণে বিগত স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের আমলে ভুল তথ্য দিয়ে ভূমিহীন বলে ২ একর সহ আরও সরকারি খাস জমি অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। এছাড়াও ১৯৯৩ সালে বি এস রেকর্ডিংয় দলিল মূলে কওলা করে সেই জায়গায় রাতের অন্ধকারে তথ্য গোপন করে বেআইনি ভাবে ঘর নির্মাণ করে। সরেজমিনে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা সেহাঙ্গল এলাকায় যান সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার নিমিত্তে। সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শেখ মোহাম্মদের অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসে মিডিয়ার সামনে । লোভের কারণে শেখ মোহাম্মদ কতটা বেপরোয়া হতে পারে তা ভাবাই যায়না। বিগত ১৯৭২ সালে সেহাঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করে শেখ মোহাম্মদ। অথচ তৎকালীন সময়ে কাউখালীর কেন্দুয়ার বাসিন্দা সেই সময়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক থাকাকালিন সময়ে প্রায় ৪০,০০০ টাকা পরিশোধ করার জন্য নিজ বাড়ীর জায়গা জমি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করেন। অথচ মূল ভিলেন ছিলেন বর্তমান ভূমিখোর সেহাঙ্গলের শেখ মোহাম্মদ। বিগত সময়ে সেনা বাহিনীতে এক আত্মীয়ের বলে এলাকায় বিশাল ক্ষমতা দেখাতেন কারণে অকারণে। এরশাদের আমলে বেশী ক্ষমতা দেখিয়ে সেহাঙ্গল এলাকায় যা ইচ্ছে তাই করে যেতো। অথচ দিন বদলের পালায় আজ স্থানীয় ভূক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেয় ন্যায়ের পক্ষে অধিকার পাওয়ার জন্য। সর্বশেষ তথ্য মতে এখন পর্যন্ত শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে৪/ ৫ টি মামলা চলবান। এছাড়াও গ্রাম্য শালিসি বৈঠকের শেষ নেই। গতকালও এলাকায় একটি শালিসি হওয়ার কথা বলে জানান এলাকার লোকজন। এ ব্যাপারে শেখ মোহাম্মদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও শতভাগ ব্যার্থ গণ মাধ্যম কর্মীরা। অবশ্য বাসায় গিয়েও পাওয়া যায়নি শেখ মোহাম্মদকে। সর্বশেষ তথ্য মতে, এলাকার বেশীরভাগ লোকজন ভূমিখোর শেখ মোহাম্মদের কঠিন বিচারের দাবীতে স্বোচ্ছার।
Leave a Reply