গলাচিপা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজন কৃষক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত ব্যক্তির নাম কাসেম মৃধা। তিনি গলাচিপা উপজেলার চর ওহাবের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর ওহাব গ্রামে ধান কাটতে যায় ভোলার চর ফ্যাশন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের আলমগীর ডাক্তার ও রব মাঝির নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লাঠিয়াল। এসময় চর বিশ্বাস ইউনিয়নের কৃষক কাসেম মৃধা নিজের ফলানো ফসল রক্ষায় বাধা দিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫-১৬ জন আহত হয়। গলাচিপার কাসেম মৃধা (৪৫), সবুজ মৃধা (২১), বাবুল হাওলাদার (৪২), সোলেমান মৃধাসহ (২৮) ৯ জন এবং চর ফ্যাশনের ছয়জন আহত হয়। গুরুতর আহত চারজনকে গলচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শেবাচিমে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাসেম মৃধা ও বাবুল হাওলাদারকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। চর ওহাবের কৃষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূর্ব চরবিশ্বাস মৌজার চর ওহাবে প্রায় পৌনে ৫০০ একর জমি আমাদের বিভিন্ন কৃষকের রেকর্ড করা, যা গলাচিপা থানার সীমানার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মুজিবনগর ইউনিয়নের সংঘবদ্ধ একটি দল গায়ের জোরে প্রতিবছর জমি ও ফসল লুট করে নিয়ে যায়।
তিন মাস আগে এ চরে টেপু ধান রোপণ করা হয়। ধানের রঙ লাল হওয়ার আগেই বুধবার সকাল ৮টার দিকে মুজিবনগর ইউনিয়নে অবস্থান করা শতাধিক লাঠিয়ালরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধান কাটা শুরু করে। এতে বাধা দিলে সাধারণ কৃষককে কুপিয়ে জখম করেন তারা। চর বিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সি জানান, ‘প্রতি বছরই ধানের মৌসুমে ভোলার লাঠিয়ালরা আমাদের এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল লুট করে নিয়ে যায়। এবারও কৃষকদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, চর বিশ্বাসে ধান কাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কাসেম মৃধা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনার মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply