এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ মাঠ পর্যায়ে কঠিন অকুতোভয় দুঃসাহসীক চির আপোষহীন নেতার সন্ধানে স্বরূপকাঠি পৌরসভার সন্মানিত ভোটাররা। স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতার উপর নির্ভর করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বহুদিন ধরে পৌর সভার মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার মত মেয়র প্রার্থী খুঁজছে। তাছাড়া বিগত সময়ে বহু শীর্ষ নেতারা মাঠে অবস্থান করলেও সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার মত সাহস ছিলো না অনেকেরই। সফলতা না ব্যার্থতা সেই প্রশ্নই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সমগ্র পৌরবাসীর ভোটারদের মধ্যে। যদিও পৌর নির্বাচনে দলীয় ভাবে বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে গ্রহণ যোগ্যতা সবচেয়ে বেশী। সঠিক নিয়মে ভোটের পরিবেশ হলে শতভাগ নিশ্চিত বিজয়ের পথে বি এন পির মেয়র প্রার্থীরা। অবশ্য বিগত সময়ে পৌর নির্বাচনে কমবেশি বিতর্ক ছিল। বিগত সময়ে বি এন পির আমলে ভোট কেন্দ্রে দখল করে ক্ষমতার প্রয়োগ করে ধানের শীষের প্রতিকে ভোট দেওয়ার দুঃসাহস দেখায়। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ইউনিয়নবাসীরা ভোট দিয়ে বর্তমান মেয়রকে নির্বাচিত করেন। অথচ এতকিছুর পরও সাধারণ ভোটাররা পৌর নির্বাচনে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মত যোগ্য ও নুতন মুখের প্রার্থী চায়।নেতৃত্ব দেওয়ার মত তুখোড় নেতার সন্ধানে কি সরকারি দল কিংবা বিএনপির সন্মানিত ভোটাররা নতুন মুখের প্রার্থী খুজতেছে। আর সেই সূত্র ধরেই এলাকার স্বার্থে বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা সকলেই কমবেশি জিম্মি ভোটের চিন্তা ভাবনা করে। আমাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা কোন কাজে আসেনা।শুধু মাত্র দলীয় প্রতিকের কারণে আমরা সকলেই যোগ্য প্রার্থী বা যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার মত বলিষ্ঠ নেতা পাইনা। এদিকে এতকিছুর পরও প্রতিটি দলের মধ্যে যোগ্য বা অযোগ্য নেতা রয়েছে।যদিও পৌর পিতার বিশাল দায়িত্ব পালন করা কঠিন ব্যাপারও বটে। বিগত সময়ে পৌর সভার উন্নয়ন মূলক কাজের ক্ষেত্রে কথার ফুলঝুরি হলেও বাস্তবে ছিটেফোঁটাও হয়না। জোড়া তালির সংসারও বলা যায় বর্তমান সময়ের পেক্ষাপটের কথা চিন্তা ভাবনা করে। বর্তমান সময়ে পৌর সভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনও সঠিক নিয়মে দিতে দারুণ হিমশিম খেতে হয় বর্তমান মেয়র মহদয়ের । অথচ এত কিছুর পরও আগামীর জন্য পৌর পিতার আসনে বসার জন্য এরিমধ্যে হাফ ডজনের বেশি প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সরকারি দলের মধ্যে বর্তমান মেয়র সহ মিয়া মোঃ ওহাব, মোঃ ফারুক আহমেদ (মোমবাতি ফারুক ভাই), মোঃ মাহমুদুর রহমান খান, শিশির কর্মকার, মোঃ শহিদুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। তবে বি এন পির মধ্যে সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ সহ সাবেক মেয়র মোঃ মাহবুব আহসান, সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও আলহাজ্ব কাজী মোঃ কামাল প্রমুখ। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় সরকারি দলের মধ্যে সবচেয়ে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী হিসাবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মুইদুল ইসলাম মুহিদের অনুসারীরা সুকৌশলে জানান দিচ্ছে সর্ব মহলে। এদিকে সকল জল্পনা কল্পনাকে পিছনে ফেলে স্থানীয় পৌর বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী মোঃ কামাল পৌর বাসীর জন্য চমক সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আগামীর পৌর নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দলীয় অফিস কার্যালয়ে। যদিও এবারের পৌর নির্বাচনে সাবেক দুই মেয়রও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে আগাম জানান দিয়েছে। স্থানীয় ভাবে বি এন পির প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের প্রতিক পাওয়ার সম্মানার্থে যে কোন লবিং ও গ্রুপিং করবেই বলে দলের বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান। তবে জেলার যাছাই বাছাই সহ কেন্দ্রীয় বি এন পির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কে পাচ্ছেন তাবলা দারুণ মুসকিল।অবশ্য সময়ের সাহসী মেয়র প্রার্থী হিসেবে জেলা সহ কেন্দ্রে একটা সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সকলের আর্শীবাদ নিয়ে। দুর্দান্ত সাহসী উচ্চারন সহ মাঠ পর্যায়ে অকুতোভয় দুঃসাহসী নেতা হিসেবে একটা বিশেষ কদর রয়েছে। জেলার রাজনীতির মধ্যে যুবদলের সহ সভাপতি হিসাবেও রয়েছে দারুণ মুন্সীয়ানার ছাপ।
এ ব্যাপারে স্বরূপকাঠি পৌরসভার বহু শীর্ষ নেতারা নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, নিঃসন্দেহে কাজী কামাল সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান পৌর কমিটির মধ্যে সবচেয়ে সাহসী উচ্চারন করা নেতা একজনই। সাবেক মেয়র প্রার্থী ও পৌর বি এন পির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ একজন নরম মনের মানুষ। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে যে ধাছের রাজনীতি করা দরকার তার শতভাগ গুনাবলি কাজী কামালের মধ্যে বিরাজমান। তবে ভিন্ন কথা বলেন,সময়ের উদীয়মান নেতারা, তাদের দাবী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে কাজী কামালই যোগ্য প্রার্থী। অধম্য সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া একমাত্র সকলের আস্থার প্রতিক সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী কাজী মোঃ কামাল। নিঃসন্দেহে পৌর সভার মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন জরিপে সর্বদিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে স্থানীয় পৌর বিএনপির মধ্যে। এ ব্যাপারে কথা হয় পৌর বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর সভার সম্ভাব্য বি এন পির মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব কাজী মোঃ কামালের সাথে। তিনি অকপটে স্বীকার করেন আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম শতভাগ হবো আগামীর জন্য। স্থানীয় পৌর বি এন পির শীর্ষ নেতারা আমাকে সব কিছু বিবেচনা করে সাপোর্ট দিবেন। তাছাড়া গত পৌর নির্বাচনে সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ আমাকে আকলম বসে জবান দিয়েছিলেন সকলের সামনে বসে আগামীতে সে আর নির্বাচন করবে না।তৎকালীন সময়ে শফিকুল ইসলাম ফরিদও মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অন্যদিকে বি এন পির প্রার্থী ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদও। তিনি আরও বলেছিলেন, তুমি আমার হয়ে কাজ করো এবারের পৌর নির্বাচনে। আগামীতে তুমিই হবে পৌর মেয়র প্রার্থী যদি দল দেয়। তাই আমি আমার দায়িত্ব বোধ থেকে এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। তিনি আরও বলেন, আমি ধানের শীষের প্রতিক পাওয়ার পর পৌর নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো সকল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে। বিগত সময়ে আমাদের দলের শীর্ষ নেতারা মাঠ ছেড়ে চলে গেছেন। ইনশাআল্লাহ এবার আমি ধানের শীষের প্রতিক পেয়ে একটা নজির স্থাপন করবো সকলের ভালবাসা নিয়ে।
Leave a Reply