নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে মিনি চাইনিচ ও ফাস্টফুডের দোকান। বিশেষ করে করোনা কালেও ফাস্টফুট দোকানের সংখ্যাটা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন বেকারত্বের সংখ্যা কিছুটা কমছে ঠিক তেমনি ভাবে তরুণ-তরুণীদের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য খুবই হতাশা জনক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রেতাদের আকর্ষণ সৃষ্টি করানোর জন্য ভিন্ন নামে ভিন্ন আঙ্গিকে নগরীর অলিগলিতে গড়ে উঠছে মিনি চাইনিচ ও ফাস্ট ফুডের দোকান। যদিও খাবারের মান নিশ্চিত করার ব্যাপারে তাদের তেমন একটা মাথা ব্যাথা নেই। খাবারের স্বাদ এবং আইটেম বৃদ্ধি করাটাই হলো মুল লক্ষ। আর এসব দোকানদারের প্রধান ক্রেতা হচ্ছে বরিশালের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা। এই করোনা কালেও প্রেমিক জুটি যারা কোচিং অথবা ঘর ফাকি দিয়ে ভিড় করে এসব দোকানে।ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ধরে চলে আড্ডাবাজি আর হৈ হুল্লোর। আর এই সুযোগে তাদের কাজ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাবা- মায়ের রক্ত ঝড়ানো ঘামের টাকা। তরুণ-তরুণী চিৎকার চেচামেচিতে আর হৈ হুল্লোরে পরিবারপরিজন নিয়ে ফাস্ট ফুডের দোকানে খেতে যাওয়াটা খুবই কস্ট সাধ্য বিষয় হয়ে যায়। অনেক সময় এসব দোকানে প্রেমিক প্রেমিকেরা অসামাজিক কাজের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেচে নেয়। দোকান মালিকেরা তাদের লাভের কথা চিন্তা করে দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। আবার কিছু কিছু দোকানে ঘন্টা হিসেবেও বাড়া দেয়া হয় এসব প্রেমিক জুটিদের জন্য। ফলে দিন দিন আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অধপতনের দিকে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে মুল্যবোধ। এছাড়াও ফাস্ট ফুড দোকানের খাবারে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ সহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ববনা রয়েছে। ডাক্তারদের মতে, ফাস্ট ফুডের খাবারে হাইজিন নিয়ে সমস্যা আছে। এতে কোনো ধরনের নিয়মনীতি মানা হয়না। অনেক সময় তৈল বেশি থাকে আবার একই তৈল দিয়ে দীর্ঘ দিন খাবার তৈরি করা হয়। আর এসব থেকে উত্তরনের জন্য ফাস্ট ফুড দোকান গুলোতে এখনই প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে এছাড়া বাবা মায়েদের প্রতি জোড় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের মতে, বাসার খাবারের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান নগরীর বিভিন্ন এলাকার ফাস্ট ফুড ও মিনি চাইনিচ মালিকেরা এই প্রতিবেদকে জানান, করোনার প্রথম ধাপে ব্যবসা বন্ধ থাকায় অনেক টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদের,তবে কয়েক মাস যাবদ আবার ব্যবসা চালু করেছি, পুনরায় স্বরুপে সব ধরনের আইটেম চলে, তবে সিমিত টাকা খাবারের নতুন কিছু প্যাকেজ রয়েছে সে গুলো একটু বেশি চলে। পরিবার বন্ধুবান্ধবসহ নানা শ্রেনী পেশার লোকজন আসে। হোম ডেলিভারি সহ আমাদের প্রতিদিন অর্ডার এর প্যাকেট হয় কম বেশি। এম, এ, জলিল সড়ক বটতলা এলাকায় রেস্টুরেন্ট গুলোতে বিভিন্ন সময় খেতে আশা একাধিক প্রেমিক প্রেমিকা জুটি জানান, এখানে খাবারের মান ভালো, মাঝে মধ্যে খাবারের বিভিন্ন অফার দিলে আমরা এখানে খেতে আসি। তবে বিলটা নিচ্ছে ঠিকই হাকিয়ে। খাবারের মানঅনুযায়ী বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট খাবার কতটুকু মানসম্পুন্ন তা দেখার বিষয় সংশ্লিষ্টদের।
Leave a Reply