নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিন ব্যাপি চরমোনাইর (অগ্রহায়ণের) বার্ষিক মাহফিল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম দুপুরে জুম্মা বাদ বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল শুরু করবেন। ইতোমধ্যে মাহফিলের প্যান্ডেলসহ পূর্ণ প্রস্ততি সম্পূর্ণ করেছেন এন্তেজামিয়া কমিটি । চারদিকে ধানক্ষেত ও পানি থাকায় মাহফিলের জন্য মাদ্রাসার মূল মাঠ সহ আরও একটি মাঠ স্থান বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসুল্লিদের বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে আলোক সজ্জায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দুইটি জেনারেটর সক্রিয় করা হয়েছে। মাহফিলে আসা ব্যক্তিদের ওজু গোসলের জন্য দুইটি পুকুর ৩ টি সাব মার্সিবল মর্টার, ৬ টি গভীর নলকুপসহ সহস্রাধিক পানির টেপ বসানো হয়েছে।স্থায়ী ৩ শতাধিক টয়লেট সহ অস্থায়ীভাবে আরো ৩ শতাধিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। অসুস্থদের সেবার জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতালে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তার ও শতাধিক মুজাহিদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আইন শৃঙখলা রক্ষায় স্থানীয়ভাবে প্রায় পাচ শতাধিক মুজাহিদ কমিটির সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। সরকারী ভাবে শতাধিক র্যাব পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইছহাক মুহাম্মদ আবুল খয়ের জানান তেমন কোন প্রচার করা না হলেও ইতোমধ্যে আগত মানুষে মাঠের তিন চতুর্থাংশ পূর্ণ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় বিনামূল্যে বিতরনের জন্য এক লাখ মাস্ক রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশের প্রায় সকল জেলা হতে লোকজন মাহফিলে অংশ নিতে হাজির হয়েছে। কোন প্রকার বড় ধরনের দূর্যোগ দেখা না দিলে সোমবার সকালে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে পীর রেজাউল করীম মাহফিল সমাপ্তি করবেন। মাহফিলে পীর ছাড়াও তার ভাই ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, সৈয়দ ইছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী সহ দেশের খ্যাতনামা ওলামায়ে কেরামগন ওয়াজ নসিয়ত করবেন বলে মাহফিল পরিচালনা কমিটি নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply