নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটিকর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সদর হাসপাতালের ভিতরে ও পিছনে এবং নাজিরাপুলের দক্ষিণ পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে ঢুকতে রাস্তার উপর বসছে মদ বিক্রির হাট। সদর হাসপাতালের উত্তর প্রান্তে বাউন্ডারি ওয়াল কেটে তৈরি করা হয়েছে মাদক সেবনকারীদের জন্য গেট। রিতীমত চলছে মদ বিক্রি, বাড়ছে মাদকসেবিদের আড্ডা, চলছে গানবাজনা।
মাদকসেবি ও মাদকবিক্রেতাদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা সহ বরিশাল জিলা স্কুলের কয়েক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, সদর হাসপাতালের দুইজন স্টাফ ও তাদের স্ত্রী সহ কালু নামের একজন পুরাতন মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে এই মদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তারা জানান, মাদক সম্রাট কালু ও তার লোকজন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই মদের হাট পরিচালনা করেন যা সর্বজন জ্ঞাত। তাছাড়া বরিশালের নগরীর সুধী ও শুশীল সমাজের অনেকেরই সেই হাটে আনাগোনা রয়েছে।
স্থানীয় একজন মহিলা এডভোকেট জানান, মদ খেয়ে অনেক ইয়াং জেনারেশন মাতাল হয়ে এত আজে বাজে ভাষায় এবং উচ্চস্বরে গানবাজনা ও গালিগালাজ করে যে বসবাসরত সাধারণ পরিবারগুলো কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সন্তানদের নিয়ে বাস করতে পারছি না। এখানে শুধু মদের আসরই বসে না, গলির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদক। সদর হাসপাতালের মধ্যে মাদকের পাশাপাশি দেহ ব্যবসার গুঞ্জনও রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি এ ব্যাপারে অতিশীঘ্র বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলাপ্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও র্যাব-৮ এর উপপরিচালক বরাবরের আবেদনের মাধ্যমে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে ব্যাব-৮ মদবিক্রির অভিযোগে অভিযান চালিয়ে শতাধিক লিটার মদ নষ্ট করে দিয়ে গেলেও মদ বিক্রেতারা তাতে সাবধান হতে পারে নি। তবে দেহ ব্যবসাটা বন্ধ হয়েছে বলে অনেকে জানান।
জনশ্রুতি রয়েছে সদর হাসপাতালের পিছনে এই মদের হাটে রীতিমতো অনেক রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ, সাংবাদিকদের যাতায়াত রয়েছে এবং তারা মাদক সুবিধা সহ চাঁদা নিয়ে থাকেন।
সাধারণ জনগণ মনে করে মাননীয় পুলিশ কমিশনার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
Leave a Reply