আমতলী প্রতিনিধি ॥ আমতলী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীদের পরিত্যাক্ত একটি ক্লাব ঘর রবিবার রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পাশেই অবস্থিত আদালত ভবনসহ পরিষদের ৮ টি অফিস ভবন। পরিষদের মধ্যে আগুন লাগায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানাগেছে, উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের মধ্যে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী ক্লাব ঘর রয়েছে। ওই ক্লাব ঘর গত ১০ বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘর পরিত্যাক্ত থাকায় ওই ঘরের মধ্যে স্থানীয় মাদক সেবীদের আড্ডা স্থলের পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত অবদি পর্যন্ত বসে মাদকসেবীদের মিলন মেলা। রবিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ ওই ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা স্থানীয়রা দেখতে পায়। এ সময় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা কম্পাউন্ডের মধ্যে শিশু পার্কের মেলায় আসা শিশু, কিশোর ও নারীদের মধ্যে ছুটাছুটি শুরু হয়। খবর পেয়ে আমতলী দমকল বাহিনীর লোকজন এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আইনজীবি সমিতি ভবন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিস, পুরাতন মৎস্য ভবন, আনসার ভিডিপি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা অফিস, মহিলা বিষয়ক অফিস ও স্কাউট অফিস। দমকল বাহিনীর লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও রক্ষা পায়নি পরিত্যাক্ত ক্লাবটি। দমকল বাহিনীর ধারনা পরিত্যাক্ত ভবনে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় সিগারেট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা কম্পাউন্ডের মধ্যে পরিত্যাক্ত ভবনে এলাকার বখাটে মাদকসেবীরা সকাল থেকে রাত অবদি পর্যন্ত মাদকের মিলন মেলা বসায়। তাদের সিগারেট থেকেই আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেছেন স্থানীয়রা।
আমতলী উপজেলা দমকল বাহিনীর ষ্টেশন অফিসার মোঃ তামিম হাওলাদার বলেন, পরিত্যাক্ত ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। তাই বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভবনা নেই। ধারনা করা হচ্ছে সিগারেট থেকেই আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply