এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে স্বরূপকাঠি উপজেলার ৫ নং জলাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে। করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত না হয়ে ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের চায়ের দোকান সহ অলি গলিতে আগাম নির্বাচনের আলোচনায় বেশ সরগরম। আলোচনা সমালোচনা সহ বিগত সময়ের সকল বিষয়ে কথা হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান সহ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরছে স্ব স্ব সমর্থকরা। আর হ্যা আজকের আমরা লেখায় তুলে ধরছি আগামীর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যা প্রার্থী মোঃ খলিলুর রহমানকে নিয়ে। আরামকাঠীর মৃত্যু মোঃ আলফাজ মিয়ার ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান।রাজনীতির পাশাপাশি ব্যাবসা বানিজ্য করাই আসল কাজকর্ম। স্থানীয় রাজনৈতিক মাঠে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরী করতেসক্ষম হয়েছেন ইতিমধ্যে। আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে শতভাগ চেষ্টা করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে মানব সেবায় এগিয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবার মধ্যে একটা বাড়তি সুনাম অর্জন করা যায়। আর সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে আগামীর মিশন ও ভিশন নিয়ে মোঃ খলিলুর রহমান ধীর গতিতে এগিয়ে চলছে জলাবাড়ী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে।এক মন এক চিত্তে সকলের আর্শীবাদ নিয়ে সুকৌশলে আগামীর জন্য চেয়ারম্যান হওয়ার বাসনা নিয়ে বেশ জোরেশোরে এগিয়ে চলছে। নৌকার টিকেট পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হয়ে মোঃ খলিলুর রহমান ও তার সমর্থনরা বর্তমান সময়ে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে গণ সংযোগ করে যাচ্ছে । জলাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে এবারের নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু আশিষ বাড়াল (সম্ভাব্য প্রার্থী যদি হয় ) সবচেয়ে বেশী বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন বিতর্কিত মূলক কর্মকা-ের কারণে নৌকার টিকেট পাওয়া নিয়ে শতভাগ সংশয় দেখা দিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাগ্যে।এলাকার বেশীরভাগ ভোটাররা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, পলাশ হত্যার প্রধান আসামির তালিকায় চূড়ান্ত চার্জশিটেও চেয়ারম্যান বাবু আশিষ বাড়ালের নাম রয়েছে।তাই বর্তমান চেয়ারম্যান দারুণ তলানিতে রয়েছে আগামীর জন্য চূড়ান্ত প্রার্থীতা নিয়ে।নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, গত নির্বাচনে সাবেক সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম আউয়াল মহোদয় বেশি বিতর্কিত হয়েছে আশীষ বাড়ালের মত লোকদের নৌকার টিকেট দিয়ে। অথচ এবারের নির্বাচনে শান্তির প্রতিক, সাদা মনের মানুষ মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়ে নির্বাচন হবে সমগ্র উপজেলায়।ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনে যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে নৌকার টিকেট পেতে হবে বলে জেলার ও উপজেলার বিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা জানান। এদিকে জলাবাড়ী ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে সম্ভাবনা জাগিয়ে মাঠ পর্যায়ে দুর্বার গতিতে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।জলাবাড়ী ইউনিয়নের সমাজ সেবক ও ব্যাবসায়ী বাবু বিশ্বজিৎ হালদার খোকন বিগত সময় থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছে নৌকার টিকেট পাওয়ার ভিশন নিয়ে।অপর দিকে শান্ত মজুমদার চন্দনও প্রচার প্রচারণায় নজরে রয়েছে। ব্যাতিক্রমী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ। অবশ্য বি এন পির প্রার্থী হিসাবে কারও নাম ডাক শোনা যাচ্ছে না। তবে প্রবীণ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী আকন মাঠ চষে বেড়াচ্ছে নৌকার টিকেট পাওয়ার নিমিত্তে। এদিকে আগামীর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে কথা হয় জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে।একান্ত আলাপ চারিতায় বলেন, আমি জলাবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আমার রাজনৈতিক কর্মকা-ে মুগ্ধ হয়ে আমাকে চমৎকার দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিয়েছেন। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে জানান,আসলেই আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিজেকে জনগনের সেবায় নিয়োজিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।দলের নেতা ও কর্মীরা সহ জনগণই আমার প্রধান অনুপ্রেরণা।আর সেই কারণে ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করার আগ্রহ জেগেছে ।এলাকার বেশীর ভাগ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমি নির্বাচন করবো।আমার একমাত্র চাওয়া নৌকার টিকেট পেয়ে আগামীর জন্য জলাবাড়ী ইউনিয়নবাসীর খেদমত করবো ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply