নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জোর করে অন্যের সম্পত্তির বসত ঘরে প্রবেশ সহ অমানবিক কায়দায় মহিলাকে মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল আমিন, জামাই জাহিদ গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত পরশু শুক্রবার ভোর বেলায় ফজরের নামাজের জন্য ঘর থেকে বের হয় ক্রয়কৃত জমির মালিক পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আঃ সত্তার। সেই সময়ে ওতপেতে থাকা সাবেক জায়গার মালিক মোঃ আল আমিন, মেয়ের জামাই মোঃ জাহিদ, জাহিদের স্ত্রী সাথী ও তার মা কৌশলে আঃ সত্তারের ঘরে প্রবেশ করে। মুহূর্তের মধ্যে আঃ সত্তারের স্ত্রী মারুফাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন কোন কিছু আচ করার আগেই । ঘুমন্ত অবস্থায় মারুফাকে উদ্দেশ্য করে বেধম প্রহার করে এলোপাতাড়ি ভাবে । পাশাপাশি আঃ সত্তারের দুই মেয়েকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে নব্য বুড়ো মাস্তান খ্যাত মোঃ আল আমিন ও তরতাজা জামাই মোঃ জাহিদের বিরুদ্ধে। এসময়ে বুড়ো মাস্তানের বউ ও মেয়ে সাথী আঃ সত্তারের স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, চুড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দামী মোবাইলও নিয়ে যায় বলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে কান্নারত ভাষায় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান। মিডিয়াকে আরও জানায়, আমার স্বামী ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যায়। এসময়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ও আমার মেয়ের উপর হামলা চালায় এবাহিনী।এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আলাপ সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশীরা গন মাধ্যম কর্মীদের জানান, গত ১৯৮৭ সাল থেকে আঃ সত্তার প্রতিবেশী প্রয়াত মোঃ গইজ উদ্দিনের মেয়ে মোসাঃ পারুল আক্তার, রেনু বেগম, বিলকিস আক্তারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। পরবর্তী সময়ে গইজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান ও আল আমিনের কাছ থেকেও জমি ক্রয় করেন। প্রতিবেশীরা আরও জানায়, আঃ সত্তার মোট সম্পত্তি ক্রয় করেন১৬ শতাংশ। অথচ অদ্যবদি আঃ সত্তার ভোগ দখলে আছে মাত্র ৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত পুরো সম্পত্তির বৈধ অধিকার পাচ্ছেন না আঃ সত্তার । নাম না প্রকাশের শর্তে ৬ নং ওয়ার্ডের বহু লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, বুড়ো মাস্তান খ্যাত মোঃ আল আমিন ও তার পরিবার বাহিনী গায়ের জোরে রংবাজি করে যাচ্ছে বেআইনি ভাবে। বৈধ অধিকার তো দিচ্ছে না বরং আঃ সত্তারের ভোগ দখলের সম্পত্তির উপর বেআইনি ভাবে ভোগ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আর সেই সূত্র ধরেই গত পরশু মাস্তানি কায়দায় অন্যের ঘরে প্রবেশ করে মহিলাদের উপর মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি স্বর্ণের জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয় নব্য রংবাজ বাহিনীগংরা।
এ ব্যাপারে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা পৌর সভার বাসিন্দা মোঃ আল আমিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। মিডিয়ার পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। তবে ভিন্ন কথা হয় আঃ সত্তারের সাথে। তিনি অকপটে স্বীকার করেন, আমি আমার বৈধ অধিকার পাচ্ছি না এখন পর্যন্ত । প্রশাসন সহ কেহই আমাকে ন্যায়ের পক্ষে সাপোর্ট দিচ্ছে না। গত পরশুর ঘটনা ছিলো চরম লজ্জার। আমার বাসায় প্রবেশ করে আমার স্ত্রী সহ আমার মেয়েকে বেধম ভাবে মারধর করে। পাশাপাশি স্বর্ন সহ মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও জানায়, আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করলেও প্রশাসন সঠিক ভাবে আমাকে সাপোর্ট দেয়নি। প্রথম দিকে আমাদের পাত্তা দিতে চায়নি। বরং পরবর্তী সময়ে আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ থাকার কথা জানতে পারেন। পাশাপাশি গত কয়েক মাস আগে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কপি দেখার পর পরই অভিযোগ নেয় কোন মতে। সর্বশেষ তথ্য মতে পৌর সভার মধ্যে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ন্যায়ের স্বার্থে মোঃ আল আমিন গংদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি হোক। পাশাপাশি বৈধ অধিকার ফিরে পাক আঃ সত্তার ও তার পরিবার।
Leave a Reply